মোবাইল নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করুন খুব সহজেই
আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম ও মোবাইল নাম্বারটা ভোটার আইডি কার্ড চেক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ভোটার আইডি কার্ড বের করার সকল নিয়ম সম্পর্কে জানতে পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বর্তমান সময়ে ভোটার এনআইডি কার্ডের গুরুত্ব রয়েছে অনেক পরিমাণে। এটি আপনার একটি দেশের নাগরিকত্বের পরিচয় বহন করে থাকে। তাই এটি অনলাইন থেকে বের করার উপায় সম্পর্কে জানা আপনার জন্য অনেক জরুরি।
পোস্টসূচিপত্র:
ভূমিকা
ভোটার আইডি কার্ড আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় কাজে লাগে। এটি প্রায় সকল জায়গাতেই কাজে লেগে থাকে। একটি সিম কার্ড তোলা থেকে প্রায় সকল জায়গাতেই প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে কোন চাকরির ক্ষেত্রে অথবা দেশের ভেতরে অথবা বাহিরে যেকোন কাজেই যাই না কেন এই ভোটার আই ডি কার্ডের প্র্যয়োজন হবেই।
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম, ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক, পুরাতন আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে, নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম সহ আরো অনেক কিছু আলোচনা করা হবে। আপনি সেই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন আর বসে না থেকে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।
ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
আমরা যখন নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করতে যাই তখন আবেদন প্রক্রিয়া শেষে তারা আমাদের হাতে একটি ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বারের ফরম ধরিয়ে দেয়। নিচেই সেই ফরমের গায়ে একটি নাম্বার লিখা থাকে। এখন আমরা জানবো কিভাবে সেই ফরম নাম্বার দিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
ফরম নাম্বার নিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার জন্য প্রথমে আপনাকে ভিজিট করতে হবে services.nidw.gov.bd এই সরকারি ওয়েবসাইটে। সেখানে গিয়ে আপনাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশান করা থাকে তাহলে লগইন করে নিবেন। আর যদি না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই রেজিষ্ট্রেশান করে নিতে হবে।
আপনার যদি একাউন্ট রেজিষ্টার করা না থাকে তাহলে প্রথমে এই https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ লিংকে গিয়ে সেখানে নিচের দেখানো মতো একটি পেজ পাবেন। সেখান থেকে "রেজিষ্টার করুন" বাটনে ক্লিক করে দিবেন।
কম্পিউটারে ইন্টারফেসঃ
মোবাইলের ইন্টারফেসঃ
সেখানে ক্লিক করার পরে নিচের মতোন এমন একটি পেজ পাবেন সেখানের সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে দিয়ে একটি একাউন্ট রেজিষ্ট্রার করে নিন।
এখানে এসে প্রথমে আপনার ফর্ম নাম্বার দিন। তার পরে আপনার জন্ম তারিখ দিন। তারপরে আপনি নিচে একটু আবছা করে লিখা কিছু কোড দেখতে পারবেন সেখানের কোড উক্ত ঘরে বসিয়ে দিন। সকল তথ্য পূরণ করা হয়ে গেলে সাবমিট দিয়ে দিন। ব্যাস আপনার একাউন্ট খোলার কাজ শেষ।
একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশান করার কাজ শেষ আখন আসি কিভাবে আপনি আপনার ভোটার স্লিপের নাম্বার দিয়ে আপনার ভোটার আই ডি কার্ড বের করে নিবেন। চলুন স্টেপ বাই স্টেপ দেখে নেওয়া যাক।
ধাপ-০১ঃ প্রথমে আপনি ফোনের প্লে স্টোর থেকে NID Wallet নামের মোবাই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন। অথবা আপনি ভিজিট করুন services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে।
ধাপ-০২ঃ সেখান থেকে প্রথমে আপনার ফরম নাম্বার, তারপরে আপনার জন্ম তারিখ তারপরে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা জেলা উপজেলা সহ নির্বাচন করে নিতে হবে।
ধাপ-০৩ঃ এরপরে আপনার একটি সচল মোবাইল নাম্বার চাইবে সেখানে একটি ৬ ডিজিটের OTP কোড পাঠানো হবে। তার জন্য ওয়েবসাইটে আপনার সচল মোবাইল নাম্বার প্রদান করে বার্তা পাঠান এই বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপরে আপনার ফোনে একটি ৬ ডিজিট এর ওটিপি কোড আসবে সেই কোডটি এই বক্সে লিখে দিন।
ধাপ-০৪ঃ এরপরে আপনার স্ক্রিনে একটু QR কোড দেখতে পাবেন। আপনার যে ফোনে এনআইডি ওয়ালেট মোবাইল অ্যাপ ইন্সটল করা রয়েছে সেটি ওপেন করে এই QR কডটি স্ক্যান করে নিন।
আরো জানুনঃ
ধাপ-০৫ঃ এরপরে আপনার চেহারা স্ক্যান করতে বলা হবে। আপনার স্ক্রিনে দেখানো নির্দেশনা অনুযায়ী আপনার ফেইস স্ক্যান করে ফেলুন।
ধাপ-০৬ঃ আপনার ফেইস ভেরিফিকেশান হয়ে গেলে আপনার আইডি কার্ডের অটোমেটিক লগইন হয়ে যাবে। সেখানে একটি ডাউনলোড অপশান দেখতে পাবেন। সেখানে গিয়ে আপনার এনআইডি কার্ডটি ডাউনলোড করে নিন।
ধাপ-০৭ঃ এর পরে আপনি একটি রঙিন প্রিন্টার দিয়ে আপনার কার্ডটি প্রিন্ট করে নিন। এখন এই এনআইডি আপনি সকল জায়গাতেই ব্যাবহার করতে পারবেন
ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক
আপনি যদি ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করতে চান তাহলে তো আপনাকে সেই আপনার আইডি কার্ডের নাম্বার জানতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো আপনার হাতে তো ভোটার ফর্ম নাম্বার রয়েছে আপনি এই ফর্ম নাম্বার দিয়ে কিভাবে এই ভোটার নাম্বার বের করবেন। আপনি যদি না জানে চিন্তার কোন কারণ নেই আমরা এখন এই বিষয় সম্পর্কে জানবো।
আপনি যদি আপনার ভোটার নাম্বার না জেনে থাকেন তাহলে আপনি নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। অথবা আপনি আপনার নিউনিয়ন পরিষদে গিয়ে যোগাযোগ করুন। সেইখান থেকে আপনার আইডি কার্ডের নাম্বার পেয়ে যাবেন। অথবা আপনি উপরের দেখানো নিয়ম অনুযায়ী আপনার স্লিপ নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করে নিতে পারবেন।
ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার জন্য নিচের দেখানো স্টেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
স্টেপ-০১ঃ ভোটার নাম্বর দিয়ে আইডি কার্ড বের করার জন্য প্রথমে আপনি বাংলাদেশ নির্বাচন করমিশনারের ওয়েবসাইটে services.nidw.gov.bd প্রবেশ করুন। তারপরে সেখানে তিন লাইনের একটি মেনু বার দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করে "ভোটার তথ্য" নামের একটি বাটন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন।
স্টেপ-০২ঃ ভোটার তথ্য পেজটিতে যাওয়ার পরে আপনার সামনে একটি বক্স আসবে। এখানে এসে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার বসান অথবা আপনার ফর্ম নাম্বার বসিয়ে দিন।
স্টেপ-০৩ঃ এরপর আপনার কাছে থেকে আপনার জন্ম তারিখ জানতে চাইবে। সেখানে আপনার জন্ম তারিক বসিয়ে দিন।
স্টেপ-০৪ঃ জন্ম তারিকহ বসানো হয়ে গেলে নিচেই একটি আবছা করে কিছু লিখা থাকবে সেটি সঠিকভাবে ঘরে লিখুন।
আরো জানুনঃ
এইস সকল তথ্য এখানে বসানো হয়ে গেলে সবমিট বাটনে ক্লিক করুন আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি দেখতে পাবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে এই সকল কাজ করার পূর্বে আপনাকে এখান একটি রেজিষ্ট্রেশান একাউন্ট খুলতে হবে। কিভাবে খুলবেন সেটি উপরে বর্ণোনা করা রয়েছে।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের - মোবাইল নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক
আপনারা এমন অনেকেই রয়েছেন যারা শুধুমাত্র আপনাদের মোবাইল নাম্বার দিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করতে চাচ্ছেন। কিন্তু আদৌ কি এই শুধুমাত্র একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার এইডি কার্ড বের করা সম্ভব সেই বিষয়টি নিয়েই চলুন বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।
আপনি যদি চান শুধুমাত্র আপনার মোবাইল ফোন নাম্বার দিয়ে একটি ভোটার আইডি কার্ড বের করবেন তাহলে আপনি একদমই ভুল ভাবছেন। কারণ এই কাজটি করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তবে একটি কাজ করা যেতে পারে আপনি যদি নিজের ব্যাক্তিগত সিম নাম্বার ব্যাবহার করা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনারের ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলে থাকেন।
আর যদি সেটি লগইন করার পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার সেই ফোন নাম্বারটি ব্যাবহার করে সেই পাসওয়ার্ড রিকভার করে নিতে পারবেন। তবে এখানে আরো একটি লক্ষ্যনিয় বিষয় হচ্ছে আপনি আপনার ফোন নাম্বার ব্যাবহার করে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার বের করে নিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
এখন কিভাবে এসএমএস করে ভোটার আইডি কার্ড করবেন এই নিয়ে আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে। চলুন এই বিষয় সম্পর্কে জেনে নেই আমরা। এসএমএস দিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার বের করার জন্য আপনার মেসেজ অপশানে গিয়ে লিখতে হবে SC <স্পেস> C <স্পেস> F <স্পেস> স্লিপ নাম্বার <স্পেস> D <স্পেস> ৪ সংখ্যার জন্ম সাল <-> ২ সংখ্যার জন্ম তারিখ। তার পরে সেটি পাঠিয়ে দিতে হবে ১০৫ নাম্বারে।
উদাঃ SC F 87654321 2000-29 এইভাবে লিখার পরে আপনি সেন্ড করে দিন ১০৫ নাম্বারে। যদি সকল কিছু সঠিক থাকে তাহলে আপনি আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনাএ ভোটার আই ডি কার্ডের নাম্বার পেয়ে যাবেন।
এই নাম্বার যদি আপনি হাতে পেয়ে যান তারপরে আপনার ভোটার নাম্বার অথবা আপনার স্লিপ নাম্বার ব্যাবহার করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকে services.nidw.gov.bd আর কিভাবে বের করবেন সেটি উপরে ভালোভাবে বলা হয়েছে। সেখানে দেখানো নিয়ম অনুযায়ি আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করে নিতে পারবেন।
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায়
আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে থেকে খুব সহজেই বের করে নিতে পারবেন। তবে তার জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার ভোটার আই ডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে এমন একটি জিডি করতে হবে। তার পরের সকল ধাপ কিভাবে কাজ করবেন সকল কিছু নিম্নে ভালো করে বর্ণনা করা রয়েছে।
ধাপ-০১ঃ প্রথমে আপনাকে আপনার নিকটস্থ থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করতে হবে। যাকে বলা হয় জিডি। সেখানে গিয়ে বলতে হবে আপনার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে অথবা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার পরে সেখানে আপনার যেসকল ডকুমেন্টস চাইবে সেগুলো পূরণ করে দিবেন।
ধাপ-০২ঃ এখন আপনাকে আসতে হবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনারের ওয়েবসাইটে। সেখানে গিয়ে কিভাবে রেজিষ্ট্রেশান করে একাউন্ট লগইন করতে হয় সেটা উপরে দেখানো হয়েছে। সেই অনুযায়ি রেজিষ্ট্রেশান করে লগইন করে নিবেন।
ধাপ-০৩ঃ একাউন্ট লগইন করা হয়ে গেলে আপয়ান্র প্রোফাইলে চলে আসবেন। সেখানে এসে দেখবেন আপনার ছবির পাশেই "রিইস্যু" নামে একটি অপশান রয়েছে। সেখানে ক্লিক করুন। তারপরে "এডিট" বাটনে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করলেই আপনার সামনে একটি পপ-আপ ইউন্ডো আসবে সেখানে "বহাল" বাটনে ক্লিক করে দিবেন।
আরো জানুনঃ
এখানে আপনার সামনে কিছু তথ্য পূরণ করতে বলবে আপনি সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে দিবেন। সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে "পরবর্তি" নামে একটি বাটন পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন।
ধাপ-০৪ঃ এখন আপনাকে রিইস্যু এর ফি প্রদান করতে হবে। তার জন্য আপনি You have total deposit of 0 BDT নামে দেখতে পাবেন এই পেজে এসেই আপনাকে ফি টি পরিশোধ করতে হবে। তার জন্য আপনার বিকাশ, নগদ অথবা রকেট একাউন্টে প্রবেশ করবেন। সেখান থেকে পে বিল অপশানে ক্লিক করবেন। তারপরে NID Service নামে অপশান পাবেন সেখানে ক্লিক করে সঠিকভাবে ফি পরিশোধ করুন।
রিইস্যু ফি হলো ভ্যাটসহ সাধারণ ফি ৩৪৫ টাকা আর জরুরি প্রয়োজনে ফি হলো ৫৭৫ টাকা। এখন আপনি কিভাবে নিতে চান তার জন্য আপনার ফি ধার্য করা হবে। সেইভাবে পরিশোধ করে দিন।
ধাপ-০৫ঃ টাকা পরিশোধ করা হয়ে গেলে আপনি "পরবর্তি" নামে বাটন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন। তারপরে আবেদনকৃত GD Scan কপি অথবা পুরো ছবি আপলোড করে দিতে পারবেন। আবেদন সাবমট করা হয়ে গেলে আপনার আবেদনে ৭-১৫ দিনের মধ্যে আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়ে যাবে।
ধাপ-০৬ঃ আপনার আবেদনটি অনুমোদন করা হয়ে গেলে আপনাকে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। তখন আপনি আবার এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক
যারা নতুন ভোটার হয়েছেন তাদের সকলেরই প্রশ্ন থাকে আমাদের ভোটার আইডি কার্ডটি যাচাই করবো কিভাবে। আপনারা যদি এই সকল কনফিউশনে ভুগে থাকেন তাহলে আপনি নিচের দেখানো নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। আশা করছি আপনার বুঝতে অনেক সুবিধা হবে।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য আপনাকে প্রথমে যেতে হবে নির্বাচন কমিশনারের ওয়েবসাইটে। সেখানে গিয়ে আপনার ফর্ম নাম্বার অথবা আপনার ভোটার এই ডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে প্রথমে একটি একাউন্ট রিজিষ্ট্রেশান করে নিয়ে তারপরে লগইন করে নিবেন।
আরো জানুনঃ
কিভাবে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হয় সেটি উপরে ভালোভাবে বর্ণনা করা হয়েছে আপনি সেটি ফলো করে কাজটি করতে পারেন। এখানে লগইন করার পরে আপনার একাউন্টের সকল তথ্য দেখতে পারবেন। এমনকি আপনার ছবি ও দেখতে পারবেন। এভাবে প্রায় সকল ধরণের ভোটার আইডি কার্ডই চেক করতে পারবেন।
যারা নতুন ভোটার রয়েছেন তারাই এই নিয়ম অনুসরণ করে কাজ করতে পারবেন। আবার যারা পুরাতন ভোটার রয়েছেন তারাও এই নিয়মে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সকল তথ্য বের করে করে যাচাই করে নিতে পারবেন। আবার কোথাও কোন ভুল থাকলে সেটিও সংশোধন করতে পারবেন।
জন্ম তারিখ দিয়ে ভোটার আইডি বের করা
জন্ম তারিখ দিয়ে ভোটার আইডি বের করার কথা যারা ভাবছেন তাদেরকে প্রথমেই বলে রাখি যে আপনি শুধুমাত্র আপনার জন্ম নিবন্ধন দিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন না। তার জন্য অবশ্যই আপয়ান্র প্রয়োজন হবে ভোটার এর ফর্ম নাম্বার। অথবা আপনার ভোটার আই ডি কার্ড নাম্বার।
আপনি কিভাবে ফর্ম নাম্বার দিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড বের করবেন সেই সম্পর্কে উপরের টপিকে সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি সেখান থেকে সেই কাজ করতে পারবেন। আশা করছি আপনাকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।
স্লিপ দিয়ে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে কি কি প্রয়োজন হয়
স্লিপ দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য অবশ্যই আপনার কিছু নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- প্রথমে আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন থাকতে হবে যেটিতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে।
- আপনার নিজের এন আই ডি কার্ডের নাম্বার প্রয়োজন হবে।
- এছাড়াও ফরম নাম্বার প্রয়োজন হয়।
- যেই নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড তৈরি করেছেন সেই নাম্বারটি প্রয়োজন হয়।
- যিনি এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন তাকে উপস্থিত থাকতে হবে। অর্থাৎ এনআইডি কার্ডের মালিক উপস্থিত থাকতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড চেকিং অ্যাপ
ভোটার আইডি কার্ড চেকিং করার অ্যাপ রয়েছে। যেটি আপনি google play store থেকে আপনার ফোনে ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে পারবেন এবং ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন। নিম্নে পদ্ধতি গুলো বলা হলোঃ
- সর্বপ্রথম আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
- এরপর আপনি আপনার মোবাইলে থাকা গুগল প্লে স্টোরে প্রবেশ করুন।
- এবার গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ বাড়ে NID Checker-BD লিখে সার্চ করুন।
- এবার আপনার সামনে NID Checker-BD এপ্লিকেশনটি চলে আসবে।
- এবার অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করতে ডাউনলোড করুন।
- ডাউনলোড হয়ে গেলে অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করুন।
- এবার আপনার মোবাইল নাম্বার সহ এনআইডি কার্ডের নাম্বার লিখুন।
- এবার আপনার জন্ম তারিখ যাবে আপনার নিজের জন্ম তারিখ দিবেন।
- এখন যাচাই করুন করার জন্য যাচাইকরণ অপশনটিতে ক্লিক করুন।
- একটু পর আপনার সামনে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সহ সকল বিস্তারিত তথ্য দেখাবে।
ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ Nid নাম্বার কত সংখ্যার হয়?
উত্তরঃ স্মার্ট কার্ডের নাম্বার ১০ ডিজিটের হবে। আর যদি আপনি পূর্বে আইডি কার্ড ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে তার সংখা হবে ১৩ ডিজিট অথবা ১৭ ডিজিটের।
প্রশ্নঃ আইডি নাম্বার মানে কি?
উত্তরঃ আপনার সকল তথ্য সরকারি ভাবে যেইখানে লিখে রাখা হয়েছে তার সিরিয়াল নাম্বার অথবা অন্তর্ভুক্ত নাম্বারই হলো আইডি নাম্বার।
প্রশ্নঃ ১ম শ্রেণির পরিচয়পত্র কি?
উত্তরঃ ১ম শ্রেণির পরিচয়পত্র বলতে এমন পরিচয়পত্রকে বুঝায় যেখানে একজন ব্যক্তির নাম, ছবি, জন্ম তারিখ এবং অন্যান্য সকল তথ্য থাকে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে snid কি?
উত্তরঃ BTRC নির্দেশিকা অনুসারে, ১৭ - সংখ্যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) কার্ড অথবা ১০- সংখ্যার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (SNID) নম্বরের গ্রাহক বলা হয়।
প্রশ্নঃ ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও এনআইএন কি এক?
উত্তরঃ না, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং NIN এক নয়।
শেষ কথা
আশা করছি আপনারা আজকের পুরো পোস্টে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। এই রকম তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদন ফ্রীতে পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url