হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায় - কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো
আজকের পোস্টটিতে আমরা হার্ট ও কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই আপনারা যদি হার্ট ভালো রাখার উপায় ও কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এখনই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
যদি আপনি হার্ট ভালো রাখার নানান উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে আশা করি হার্ট ভালো রাখার সকল উপায় সম্পর্কে আপনার ধারণা হয়ে যাবে।
হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায়
সাধারণত আপনার হার্ট যদি ভাল থাকে তাহলে আপনার হার্ট রেটের মাত্রা থাকা উচিত ৬০ থেকে ১০০। ৬০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার হার্ট ভালো আছে। অর্থাৎ স্বাভাবিক আছে। যদি আপনি দেখেন আপনার হার্ট রেট যদি কমে যায় অথবা বেড়ে যায় তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন এটি আপনার হার্ট এটাকের একটি লক্ষণ।
সাধারণত আপনার হার্টের মাত্রা ষাট থেকে একশোর বেশি হয়ে গেলে আপনার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তাই এ বিষয়গুলো অবশ্যই মেনে চলুন। হার্ট রেট বেড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়
সাধারণত হার্টের সমস্যার সময় আপনার বুকে চাপ অথবা বুকে ব্যথা শুরু হতে পারে। এ সমস্যার নামটি কে সাধারণত করোনারী আর্টারি ডিজিজ বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার বুকে ব্যথা, বুকে চাপ লাগা এবং বুক ভারি হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তবে মনে রাখবেন এই সমস্যা গুলো দেখা দিলে কখনো এটিকে অবহেলা করবেন না।
বরং এটি অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়াও আপনার বুকে ব্যথা ছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হতে পারে। তাই গবেষণায় দেখা গেছে হঠাৎ করে দাঁতের চোয়ালে অথবা ঘাড়ে ব্যথা শুরু হলে। এদিকে অবহেলা করবেন না। তাই সচেতনতা অবলম্বন করুন। সাধারণত এই প্রবলেম গুলা ছাড়াও হার্টের সমস্যা বোঝার উপায় হচ্ছে, আপনার পেট ফাঁপা অথবা বমি বমি ভাব হতে পারে।
সাধারণত মহিলাদের এই সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে। তাই এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সেই যে লক্ষণটি হল এটি হচ্ছে আপনার শরীরে ক্লান্তি। আপনার শরীরের ক্লান্তীয় কিন্তু হার্টের সমস্যা হতে পারে। সাধারণত প্রচুর কাজ এবং পরিশ্রম করার কারণে এই সমস্যাটি হতে পারে।
হার্ট ভালো রাখার খাবার - হার্ট ভালো রাখার উপায়
- মটরশুটিঃ মটরশুঁটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও মটরশুঁটিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, বি কমপ্লেক্স। যা আমাদের হাটকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- কাজুবাদামঃ সাধারণত বাদাম আমাদের দেহে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাজুবাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই এবং ওমেগা। যা আমাদের হার্ট কে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- গাজরঃ সাধারণত গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন। এই গাজর খেলে আপনার হৃদরোগ এবং স্ট্রোক এর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
- পালং শাকঃ পালং শাক এ রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, বিটা কেরোটিন ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ফাইবার। যা আমাদের শরীরে হৃদরোগের ঝুকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- কমলালেবুঃ কমলালেবু তে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যারোটিন এবং লুইটেনের মতো ক্যারোটিন এবং ফাইবারঃ যা আমাদের হার্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই হার্ট ভালো রাখতে খাবারগুলো খেতে পারেন।
হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার
আপনাদের যাদের হাটের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কিছু খাবার পরিহার করতে হবে। এসব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। চলুন এবার জেনে নেই হাটের জন্য ক্ষতিকর খাবার কি কি।
- চিংড়ি।
- মাছের মাথা এবং মাছের ডিম।
- ফাস্টফুড।
- ডিমের কুসুম।
- মাখন এবং ঘি।
- নারকেল তেল।
- ভাজা পড়া এবং তৈলাক্ত জাতীয় খাবার।
- কেক, পেস্টি ইত্যাদি।
হার্টের ব্লক দূর করার খাবার
- লাউঃ লাউ খেলে আমাদের শরীরের ওজন বাড়ে না এবং লাউ খেলে হার্ট ব্লকের মতো সমস্যা কমতে সাহায্য করে। তাই সবচেয়ে দুই তিন দিন লাউ খাওয়া উচিত।
- আমলকি এবং দুধঃ সাধারণত দুধের সাথে আমলকি খাওয়াটা খুবই উপকারী। এটি প্রতিদিন খেলে আমাদের হার্টের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যায়। তার সাথে সাথে এটি আমাদের হার্ট কে ব্লক থেকে বাঁচায়।
- রসুনঃ শরীর থেকে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এই রসুন। আপনি যদি নিয়মিত রসুন খান তাহলে আপনার শরীরের রক্তের কোলেস্টলের মাত্রা ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রসুন। রসুন এ রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের হার্টের ব্লকের সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে।
- লেবু পানিঃ সাধারণত নিয়মিত লেবুর পানি খেলে আমাদের শরীর থেকে খারাপ করেস্টল দূর হয়ে যায় এবং লেবুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের হার্ট ব্লকের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হার্টের ব্লক দূর করার জন্য এই খাবারগুলো খেতে পারেন।
হার্ট ভালো রাখার ব্যায়াম | হার্ট ভালো রাখার উপায়
সাধারণত হার্ট ভালো রাখতে ব্যায়ামের ভূমিকা অনেক। ব্যায়াম করলে আমাদের হার্ট ভালো থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন। যেমন আপনি একটু দ্রুতগতিতে হাঁটার চেষ্টা করলেন। এটি হাটের জন্য খুবই উপকারী। হার্ড ভালো রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা করা ছাড়াও আপনি চাইলে সাঁতার এবং সাইকেলিং করতে পারেন।
এই কাজগুলো আপনার হাটকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু মনে রাখবেন যাদের বয়স বেশি তাদের সাইকেলিং অথবা সাঁতার কাটার দরকার নেই। এতে প্রবলেম আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই ডাক্তারেরা বয়স্কদের দ্রুত হাঁটার কথা বলেন। তাই অবশ্যই নিয়ম কারণ মেনে চলুন এবং ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে সবকিছু করুন।
হার্ট ভালো রাখার ঘরোয়া উপায় - হার্ট ভালো রাখার উপায়
- ব্যায়াম করা।
- খারাপ খাদ্য অভ্যাস পাল্টানো।
- পারলে একটু বিশ্রাম করা।
- কম খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
- অল্প খান কিন্তু পুষ্টি জাতীয় খাবার খান।
- ধূমপানকে না বলুন।
- টেনশন বেশি করবেন না এবং চাপ কমান।
- ভাজাপোড়া এবং তেল জাতীয় খাবার খাবেন না।
কিডনি নষ্ট হওয়ার কারণ কি?
সাধারণত বিভিন্ন কারণে কিডনি নষ্ট হতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম হলোঃ
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা। পানি আমাদের কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- অনেকক্ষণ ধরে প্রস্তাব না করা অথবা প্রস্রাব আটকে রাখা। এটি করলে কিডনি নষ্ট হতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা লবণ খাওয়া। কাঁচা লবণ কিডনির ক্ষেত্রে খুবই ক্ষতিকর।
- বিভিন্ন ধরনের ক্যাফেইন এ আসক্তি। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয় পান করা। খুব বেশি পরিমাণে কোমল পানীয় পান করলে আমাদের রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং এর প্রভাব পরে কিডনির উপর।
- ব্যথা নাশক ওষুধ খাওয়া। বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দেখা দিলে ব্যথার ওষুধ খাওয়াতে। কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- খুব বেশি পরিমাণে প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া। বেশি পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে আমাদের কিডনির উপর চাপ পড়তে পারে।
- অ্যালকা হল অথবা মদ্যপান। অতিরিক্ত পরিমাণে মদ অথবা অ্যালকোহল জাতীয় ড্রিংস খেলে এটি কিডনির জন্য খুবই ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে আপনার কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত ধূমপান করা। অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান করলে কিডনিসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। তাই ধূমপান ছেড়ে দিন।
- রাত জেগে থাকা। আমাদের সবারই অভ্যাস। নিয়মিত রাত জাগলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে আমাদের কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে শুরু করে।
কিডনির কাজ গুলো কি কি?
সাধারণত কিডনি আমাদের রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয় এবং আমাদের শরীরের মূত্র উৎপাদন করে। এর প্রধান কাজ রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করা এবং মূত্র উৎপাদন। আমাদের শরীরের ২০% রক্ত কিডনিতে পৌঁছায়। এবং কিডনি সেই রক্তগুলোকে পরিষ্কার করে থাকে। এছাড়াও আমাদের শরীরে পানি এবং বিভিন্ন তড়িৎ বিশেষ্য পদার্থ যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় রাখতে কিডনি সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ শসা খাওয়ার উপকারিতা
এছাড়াও কিডনি একটি অন্তক্ষরা গ্রন্থি হিসেবে আমাদের শরীরের হরমোন নিঃসরণ করে যা আমাদের শরীরের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়
সাধারণত আমাদের কিডনি ভালো আছে নাকি এটা পরীক্ষা করতে আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা রক্তের ইউরিয়া ও শ্রীরাম ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করানো হয়ে থাকে। কিডনির সমস্যা থাকলে এই দুইটি পদার্থ বেড়ে যায়। জিএফ আর 90 এর উপরে হলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন।
কিন্তু ১৫ এর নিচে নেমে গেলে এটি শেষ পর্যায়ে থাকে। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিলে আমাদের কিডনির সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার রক্তচাপ ঠিক থাকে তাহলে আপনি বুঝবেন আপনার কিডনি ভালো আছে। সাধারণত প্রশ্ন যদি লাল হয় এবং প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হয় তাহলে আপনি বুঝবেন এটা কিডনির কোন সমস্যা।
আরো পড়ুনঃ ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম
এই সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এছাড়াও কোমরের দুই পাশে ব্যাথা অনুভব যদি হয় তাহলেও এটি কিডনি সমস্যা হতে পারে। তাই এই সমস্যা গুলো দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কিডনি ভালো রাখার খাদ্য
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- যতখানি পারবেন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- ধূমপান করা একদম বন্ধ করে দিন। অর্থাৎ ধূমপানকে না বলুন এবং এড়িয়ে চলুন।
- শরীরে কোথাও ব্যাথা হলেও আপনি চেষ্টা করবেন ব্যথার ওষুধ কম খাওয়ার।
- রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে চেষ্টা করুন।
- আপনি পেঁয়াজ খেতে পারেন। কারণ কারণ পেঁয়াজের হয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা কিডনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
- কিডনি ভালো রাখতে আপনি বেরি খেতে পারেন। কারণ বেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি এবং খাদ্য আশ। যা কিডনির জন্য খুবই উপকারী।
- অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের কিডনিকে সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- কিডনি ভালো রাখতে বাঁধাকপি খেতে পারেন। কারণ বাঁধাকপিতে রয়েছে ফাইটো কেমিক্যাল, ভিটামিন বি সিক্স, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে। এইগুলা সাধারণত কিডনি সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- কিডনি ভালো রাখতে আপনি মাছ খেতে পারেন। কারণ মাছের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি এসিড যা আমাদের কিডনিকে সুরক্ষা দেয়।
- ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন কিডনি ভালো রাখতে। কারোন ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে এবং এছাড়াও রয়েছে এমাইনো এসিড যা কিডনির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে যদি আপনার কিডনির কোন সমস্যা হয় তাহলে ডিমের কুসুম খাবেন না।
- কিডনি ভালো রাখতে ফুলকপি খেতে পারে না। কারণ ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং খাদ্য আস। যাকে কিডনির জন্য খুবই উপকারী।
- কিডনি ভালো রাখতে লাল আঙ্গুর খেতে পারেন। কারণ লাল আঙ্গুর রয়েছে এমন একটি এসিড যা কিডনি এবং প্রস্রাবের নালিকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে বাঁচায়।
- কিডনি ভালো রাখতে লেবুর রস খুবই উপকারী। লেবুতে রয়েছে এমন একটি উপাদান যা কিডনিতে থাকা ক্রিস্টাল দের একে অপরের সাথে জোড়া লাগাতে বাধা দেয়।
কিডনি পরিষ্কার করার উপায়
কিডনি পরিষ্কার থাকলেই তো আমাদের কিডনি ভালো থাকবে। আর কিডনি পরিষ্কার রাখতে সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন। যেমন পালং শাক ইত্যাদি। কারণ পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন। যা আমাদের কিডনিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনি পরিমাণ মতো এটি খাবেন। কারণ অধিক পরিমাণে পালং শাক খেলে আপনার কিডনিতে পাথরের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে
কিডনি পরিষ্কার করার জন্য চা খেতে পারেন। কারণ এক কাপ চা যেমন শরীর চাঙ্গা করে তোলে। ঠিক তেমনি কিডনি ডিটক্স করতে করতে ভূমিকা পালন করে। তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত পরিমাণে চা পান করবেন না। অতিরিক্ত সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই অবহেলা না করে ডাক্তারে পরামর্শ নিন।
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো
সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য 0,7 থেকে 1.3 মিলিগ্রাম। তার সাথে সাথে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার জন্য 0.6 থেকে 1.1 মিলিগ্রাম হলে এটি স্বাভাবিক। এবং শিশুদের ক্ষেত্রে 0.3 থেকে 0.7 মিলিগ্রাম।
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ
- প্রস্রাবে সমস্যা।
- প্রস্রাব করার সময় রক্ত বের হওয়া।
- প্রস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া।
- পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া।
- খাবারের অরুচি থাকা।
- চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া।
- মাংসপেশীতে টানটান অনুভব হওয়া।
- ত্বকে চুলকানি দেখা দেওয়া।
- শরীর ক্লান্ত থাকা।
শেষ কথা
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে হার্ট ও কিডনি ভালো রাখার ১০টি উপায় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। যদি আপনার এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্যপ্রয়োজনে বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url