গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ ২ মিনিটে বের করুন
আপনারা কি গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।
তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন, কারণ আজকের পোস্টটিতে গাড়ির নাম্বার দিয়ে
মালিকের নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
বর্তমান সময়ে অনেকেই রয়েছেন যারা খুব সহজেই গাড়ির নাম্বার দিয়ে সেই গাড়ির মালিক
কে সেই সম্পর্কে জানতে চান। তাই আপনি ও জানতে চাইলে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
ভূমিকা
আপনি যদি নতুন কোন গাড়ি কিনতে যান অথবা কোন পুরাতন ব্যাবহৃত গাড়ি কিনতে যান তাহলে
আপনাকে কিছু কাগজ পত্র দেওয়া হবে। সেখান থেকে আপনি চাইলে সম্পূর্ণ গাড়ির তথ্য বের
করে নিতে পারবেন। আর তা নাহলে আপনি যদি কোন অবৈধ গাড়ি কিনে থাকেন তাহলে আপনাকে
বিভিন্ন পুলিশি ঝামেলায় পড়তে পারেন। তাই আপনাকে এর সঠিক তথ্য যাচাই করে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
কুয়েত ভিসার দাম ও কুয়েত ফ্রি ভিসার দাম
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইনে
গাড়ির কাগজ চেক, বিআরটিএ গাড়ির কাগজ চেক, গাড়ির নাম্বার প্লেট যাচাই সহ আরো
অনেক বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি কেনো, বিস্তারিত আলোচনায়
যাওয়া যাক।
গাড়ির সিরিয়াল নাম্বার। গাড়ির নাম্বারপ্লেটে বাংলা বর্ণমালার অর্থ
আপনারা সকলেই জানেন যে বাংলাদেশের বিআরটিএ বাংলাদেশের সকলগাড়িগুলো চলাচলের জন্য
অনুমোদন দিয়ে থাকে। আর তারা এই অনুমোদনের সময়ে প্রতিটি গাড়িতে একটা অনুমোদনের
নাম্বারপ্লেট লাগিয়ে দিয়ে থাকেন। আর এই নাম্বারপ্লেট অনুযায়ী গাড়িগুলোকে বিভিন্ন
শ্রেণীতে ভাগ করা হয়।
বাংলাদেশের বিআরটিএ ১৯ টি ক্যাটাগড়িতে নাম্বারপ্লেট প্রদান করে অনুমোদন করে থাকে।
যার মধ্যে একটি রয়েছে প্রধান মন্ত্রির সকল কার্যালয়ের গাড়ি। আর ১৮ বাকি
ক্যাটাগড়ির গাড়ি রয়েছে সেগুলো জনগণের জন্য প্রযোজ্য। নিম্নে সকল ক্যাটাগরি এর
বর্ণনা দেওয়া হলো।
কঃ ৮০০ সিসি এর প্রাইভেট কারের নাম্বার প্লেটে ব্যাবহার করা হয়।
খঃ যেসকল প্রাইভেট কার ১,০০০- ১,৩০০ সিসি এর হয়ে থাকে, সেই গাড়ির
নাম্বারপ্লেটে ব্যাবহার করা হয়।
গঃ যেসকল প্রাইভেট কার ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ সিসি এর হয়ে থাকে, সেই গাড়ির
নাম্বারপ্লেটে ব্যাবহার করা হয়।
ঘঃ বাংলা ব্যাঞ্জন বর্ণের এই "ঘ" বর্ণটি এসইউভি, ক্রসওভার এই ধরণের
জীপ গাড়ির ক্যাটাগরিতে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।
চঃ যে সকল মাইক্রোবাস রয়েছে তাদের বিভিক্ত করার জন্য এই বাংলা বর্ণটি
ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।
ছঃ ভাড়ায় যেগুলো মাইক্রোবাস চালিত হয়ে থাকে সেই সকল গাড়িতে এই বাংলা
বর্ণমালার ছ বর্ণটি ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। আবার লেগুনা গাড়ির জন্য ও এই বর্ণ
ব্যাবহার করা হয়।
আরো পড়ুনঃ কম দামে বিমান টিকেট কিনার কৌশল
জঃ ছোট সাইজের যে সকল বাস রয়েছে সেই সকল বাসের ক্যাটাগড়ি বিভক্ত করার
জন্য এই বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ঝঃ বড় সাইজের যেই সকল বাস রয়েছে সেই সকল বাসের ক্যাটাগরি বিভক্ত করতে
এই বর্ণমালা ব্যাবহার করা হয়।
টঃ বড় বড় গাড়ির নাম্বারপ্লেটে এই "ট" বর্ণটি ব্যাবহার করা হয়।
ঠঃ "ঠ" বর্ণটি ব্যাবহার করা হয়ে থাকে ডাবল কেবিন পিক-আপ এর জন্য।
ডঃ বাংলাদেশের সকল মাঝারি ট্রাকের জন্য এই "ড" বর্ণটি ব্যাবহার করা
হয়।
নঃ বাংলাদেশে যে সকল ছোট পিক-আপ রয়েছে তাদের ক্যাট্যাগরি বিভক্ত করতে
এই "ন" বর্ণটি ব্যাবহার করা হয়।
পঃ ট্যাক্সি ক্যাবের জন্য এই "প" বর্ণটি ব্যাবহার করে তাদেরকে একটি
ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়ে থাকে।
ভঃ যে সকল গাড়ি ২,০০০ এর বেশি সি সি পাইভেটকার তাদের একটি
ক্যাটাগড়িতে বিভিক্ত করতে এই বর্ণটি ব্যাবহার করা হয়।
মঃ বিভিন্ন মালামাল ব্যাবহার করার জন্য যে সকল ডেলিভারি পিক-আপ রয়েছে
তাদের জন্য এই "ম" বর্ণটি ব্যাবহার করা হয়।
দঃ নিজের নিজস্ব প্রয়োজনে যে সকল সি এন জি ব্যাবহার করা হয় তাদের
জন্য এই "দ" বর্ণটি ব্যাবহার করা হয়।
থঃ আবার যেই সকল সে এন জি ভাড়ায় চালিত হয় সেই সকল গাড়ির জন্য এই "থ"
বর্ণটি ব্যাবহার করা হয়।
হঃ যে সকল মোটর বাইক ৮০-১২৫ সিসি এর হয় সেই সকল গাড়ির জন্য "হ"
বর্ণটি ব্যাবহার করা হয়।
লঃ যে সকল মোটর বাইক ১৩৫-২০০ সিসি এর হয় সেই সকল গাড়ির জন্য "ল"
বর্ণটি ব্যাবহার করা হয়।
ইঃ যে সকল গাড়ি গ্রামে চলাচল করা হয় (ভটভটি) সেই সকল গাড়ির অনুমতির
জন্য এই "ই" বর্ণটি ব্যাবহার করা হয়।
যঃ প্রধানমন্ত্রির গাড়িকে আলাদা বিভক্ত করে চিহ্নিত করার জন্য এই
গাড়ির নাম্বার প্লেটে "য" লিখে বিভক্ত করা হয়।
অনলাইনে গাড়ির কাগজ চেক
আপনার গাড়ির লাইসেন্স এর কাগজপত্র এখন চেক করার জন্য আর বিআরটিএ অফিসে যেতে
হবে না। এই কাজটি খুব সহজে বাড়িতে বসে থেকে করে নিতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে
নিচে দেখানোর নিয়ম টি অনুসরণ করতে হবে।
আপনি ফোনের মেসেজ করার মাধ্যমে আপনার গাড়ির কাগজ চেক করে নিতে পারবেন। তার জন্য
আপনাকে ফোনের মেসেজ অপশানে গিয়ে লিখতে হবে DL < Space>Reference number আর
তারপরে আপনাকে সেই মেসেজ পাঠিয়ে দিতে হবে ২৬৯৬৯ নাম্বারে। তারপরে আপনাকে কিছুক্ষণ
পরে ফিরিতি মেসেজের মাধ্যমে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্টাটাস জানিয়ে দেওয়া
হবে।
মেসেজ পাঠানোর উদাহরণস্বরূপঃ DL DM 3M0D5
আপনি এমনভাবে আরো খুব সহজেই চাইলে আপনার ফোন থেকে মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন চেক
করে নিতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে মেসেজ অপশানে গিয়ে টাইপ করতে হবে
NP<Space>DRC আর সেটি পাঠিয়ে দিতে হবে ২৬৯৬৯ নাম্বারে।
বিআরটিএ গাড়ির কাগজ চেক
আপনি চাইলে আপনি যে গাড়ি কিনেছেন সেই গাড়িটির পুরাতন প্রকৃত মালিক কে সেই
সম্পর্কে সকল তথ্য আপনার ফোন থেকে কিছু সময়ের মধ্যে যাচাই করে নিতে পারবেন। এর
সাথে সাথে এটাও দেখে নিতে পারবেন গাড়িটির নামে কোন মামলা রয়েছে কিনা। গাড়িটি
কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে এই সকল ইত্যাদি বিষয়ে সম্পর্কে। তাহলে চলুন এ
বিষয়ে এখন জেনে নেওয়া যাক।
ধাপ-০১ঃ এই তথ্যটি যাচাই করার জন্য প্রথমে আপনার পছন্দ মত একটি বাজার
সিলেক্ট করে নিবেন। সেখানে গিয়ে ব্রাউজারের সার্চবারে লিখবেন "bsp.brta.gov.bd"
এটা লেখার পরে আপনি প্রথমে যে ওয়েব সাইটে দেখতে পাবেন সেটাতে ক্লিক করে ভেতরে
প্রবেশ করবেন।
এখানে প্রথমে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সেজন্য আপনার ভোটার আইডি কার্ডের
নাম জন্মতারিখ ফোন নাম্বার ইমেইল আইডি দিয়ে সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলুন।
ধাপ-০২ঃ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে গেলে সেখানে আপনার ইউজার নাম এবং
পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্টটি লগইন করে সচল করে নেবেন। এখানে আপনি ঢুকলেই দেখতে
পাবেন "মোটরযান তথ্য" নামে একটি অপশন রয়েছে সেখানে প্রেস করবেন। এখানে গেলে আপনি
দেখতে পাবেন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি এরকম লেখা। এখান থেকে "মোটরযান সংযুক্ত করুন"
এই অপশনটিতে ক্লিক করুন।
ধাপ-০৩ঃ এরপরে আপনাকে এখান থেকে আপনার মোটরযানের কিছু তথ্য দিতে বলা
হবে। এখানে প্রথমে আপনাকে মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এর শেষের চার সংখ্যা
বসাতে হবে।
ধাপ-০৪ঃ তারপর এখানে গাড়িটি উৎপাদনের দিন অথবা বছর চাইবে সেটা দিতে
হবে। জাসিস নাম্বার এবং ইঞ্জিন নাম্বার এর তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে। আপনি আপনার
গাড়ির সকল তথ্য দেওয়ার পরে সেখানে দেখতে পারবেন "অনুসন্ধান" নামক একটি বাটন
রয়েছে। সেখানে ক্লিক করুন। তাহলেই আপনার গাড়ির সকল তথ্য দেখতে পারবেন এখানে।
ধাপ-০৫ঃ এরপরে যদি আপনি জানতে চান আপনার সেই গাড়ির নামে কোন মামলা
রয়েছে কিনা তার জন্য আপনাকে "সংযুক্ত করুন" এটাতে ক্লিক করবেন। এখানে ক্লিক করলে
দেখতে পাবেন এটা সংযুক্ত হবে। তারপরে আপনি ''মোটরযান তথ্য" এই অপশনে পুনরায়
ক্লিক করবেন।
ধাপ-০৬ঃ এখানে ক্লিক করলে আপনার গাড়ির সকল তথ্য আবার পুনরায় চলে
আসবে দেখতে পাবেন। এরপরে যদি আপনি একটু ডান দিকে টান দেন তাহলে ওইখানে আপনার
গাড়ির নামে কোন মামলা রয়েছে কিনা সেটাও দেখতে পাবেন।
ধাপ-০৭ঃ এভাবেই আপনি আপনার গাড়ির সকল তথ্য যাচাই বাছাই করে নিতে
পারবেন। তবে অনেক সময় ওয়েবসাইট নিতে পারেন নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে। সেটা চার
থেকে পাঁচ সেকেন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে।
গাড়ির নাম্বার চেকিং বাংলাদেশ
এখন খুব সহজেই গাড়ির নাম্বার দিয়েই সকল তথ্য যাচাই করা যাবে। এই যাচাই তথ্য আপনি
দুইভাবে জানতে পারেন। প্রথমটি হলো পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল যে ওয়েবসাইট
রয়েছে সেখান থেকে। আর দ্বিতীয় টি হলো পরিবহন অ্যাপ ব্যাবহার করে। এখন আমরা এই দুই
বিষয় সম্পর্কেই জানতে চলেছি।
পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে গাড়ির নাম্বার চেকিংঃ
এর জন্য আপনাকে আপনার ফোন অথবা কম্পিউটার থেকে পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের
মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। তার জন্য আপনি এই vahan.parivahan.gov.in লিংকে
ক্লিক করতে পারেন। তাহলে আপনি সরাসরি ওই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যাবেন।
এখন এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনাকে প্রথমে "Information Details" নামে একটি
অপশান পাবেন। সেখনে ক্লিক করতে হবে। তারপরে আপনাকে "Know Your Vehicle Details"
নামে একটি অপশান পাবেন সেখানে ক্লিক করতে হবে।
তার জন্য এখানে আপনাকে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। এখানে আপনি মোবাইল
নাম্বার অথবা ইমেইল আইডি দিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিবেন।
আরো পড়ুনঃ
সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন ২০২৪
মোবাইল নাম্বার অথবা ইমেইল আইডি দেওয়ার পরে সেই নাম্বারে অথবা ইমেইলে একটি কোড
আসবে সেই কোডটি বসিয়ে আপনার জন্য একটি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরি করে নিতে হবে। এমন
পাসওয়ার্ড দিতে হবে যেন অন্য কেউ ধারণা করতে না পারে।
পাসওয়ার্ড বানানো হয়ে গেলে আপনি এই ওয়েবসাইটে লগ-ইন করে নিবেন।
এখন আপনি যেই নাম্বারের গাড়ির তথ্য জানতে চাচ্ছেন সেই গাড়ির নাম্বার এখানে দিতে
হবে। এর পরে হিউম্যান ভেরিফিকেশানের একটি ক্যাপচা আসবে সেটী পূরণ করে দিবেন। আর
তার পরে সার্চ বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলেই আপনাকে একটি পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।
সেখানে সেই গাড়ির সকল তথ্য জানতে পেরে যাবেন।
পরিবহন অ্যাপ ব্যাবহার করে গাড়ির নাম্বার চেকিংঃ
এর জন্য আপনাকে প্রথমে ফোনের গুগলে প্লে স্টোর থেকে "এম পরিবহন" মোবাইল অ্যাপ টি
ডাউনলোড করে নিতে হবে।
এখানে যখন আপনি নতুন প্রবেশ করবেন এখানে আপনার কোন একাউন্ট থাকবে না তাই আপনাকে
এখানে প্রথমে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করে নিতে হবে।
এখানে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনার ফোন নাম্বার অথবা আপনার একটি ইমেইল
আইডি দরকার হবে। এখানে ইমেইল আইডি অথবা ফোন নাম্বার দেওয়ার পরে সেই নাম্বারে
একটি চাট ডিজি অথবা ছয় ডিজিটের otp কোড পাঠানো হবে। ওটিপি প্রদান করার পরে একটি
পাসওয়ার্ড তৈরি করে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
ফ্রী লটারি খেলে টাকা ইনকাম
এখানে পাসওয়ার্ড সেট করার পরে আপনার ফোন থেকে অ্যাপ এ পুনরায় লগইন করে নিবেন।
তারপরে আপনার যে গাড়ির ডিটেলস দরকার সেই গাড়ির নাম্বার দিয়ে এখানে সার্চ
করবেন।
গাড়ির নাম্বার দিয়ে সার্চ করার পরে একটি হিউম্যান ভেরিফিকেশন ক্যাপচা আসবে।
ক্যাপচাটি পূরণ করে দিয়ে সার্চ অপশনে ক্লিক করুন। পরবর্তী পেজে আপনাকে সেই
গাড়ির সকল ডিটেলস এমনকি মালিকের নামসহ সকল তথ্য জানতে পারবেন।
গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ
এখন আপনি ঘরে বসে থেকেই খুব সহজেই গাড়ির নাম্বার দিয়ে সেই গাড়ির মালিক কে সেটি
জেনে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনার শুধু সেই গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারটি প্রয়োজন
হবে। কিভাবে খুব সহজেই এই কাজটি করবেন তাহলে চলুন জেনে নেই।
স্টেপ-০১ঃ এটি খুজে পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনার স্মার্ট ফোন অথবা
কম্পিউটার থেকে আপনার পছন্দমতো একটি ব্রাউজার বেছে নিয়ে সার্চ করুন "bsp brta"
লিখে। তারপরে আপনার সামনে কিছু সার্চ রেজাল্ট দেখতে পারবেন। সেখান থেকে প্রথমে
যেই ওয়েবসাইটটি দেখতে পাবেন সেখান ক্লিক করে ভেতরে প্রবেশ করুন।
স্টেপ-০২ঃ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রথমে আপনাকে একটি একাউন্ট
রেজিশট্রেশন করতে হবে। তার জন্য আপনার ইমেইন অথবা ফোন নাম্বার আর যেই সকল তথ্য
সেখানে চাইবে সেগুলো দিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিন।
স্টেপ-০৩ঃ নিবন্ধন করার পরে তার পাশেই দেখতে পারবেন "প্রবেশ করুন"
নামে একটি অপশান। সেখানে ক্লিক করলেই আপনাকে সেখানে লগ-ইন করতে বলবে। আপনি যেই
ইমেইল অথবা ফোন নাম্বার দিয়ে একাউন্ট তৈরি করেছিলেন এখন সেই ইমেইল ফোন নাম্বার
এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করে নিন।
স্টেপ-০৪ঃ লগ ইন করা হয়ে গেলে আপনাকে একটি নতুন পেজে নিয়ে যাবে।
সেখানে "মোটরযানের তথ্য" নামে একটি অপশান দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে তার
নিচেই "মোটরযান সংযুক্ত করুন" নামে একটি অপশান দেখতে পারবেন। সেখানে ক্লিক করলে
আপনার সামনে একটি ফর্ম আসবে সেটি পূরণ করে দিন।
স্টেপ-০৫ঃ এখন ফর্মে কিছু তথ্য চাইবে আপনি সেই তথ্যগুলো সঠিকভাবে
পূরণ করুন। আর এখানে রেজিস্ট্রেশান নাম্বার দিয়ে দিবেন। যার তথ্যটি আপনি দেখতে
চাচ্ছেন।
স্টেপ-০৬ঃ এরপর আপনি সেখান এসকল তথ্য প্রদান করে "অনুসন্ধান" নামক
অপশানে ক্লিক করলেই আপনি সেই গাড়ির সম্পর্কিত সকল তথ্য দেখতে পাবেন।
আশা করছি আপনি সম্পূর্ণটি বুঝতে পেরেছেন। আর যদি কোথাও কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে
আপনি আমাদেরকে মন্তব্য করার মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারবেন।
গাড়ির নাম্বার প্লেট যাচাই
আপনারা অনেকেই আছেন যারা একটি পুরাতন লাইসেন্সের গারী ক্রয় করে থাকেন। তার পরে
সেই গাড়ির তথ্য যাচাই করতে চান। আপনাদের জন্য এই তথ্যটি ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি।
আপনি যদি উপরে থেকে মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি আশা করছি উক্ত বিষয়
সম্পর্কে একদম বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে সমস্ত গাড়ির ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা
চার্জ প্রদান করতে হয়।
প্রশ্নঃ গাড়ির কাগজপত্র কি কি?
উত্তরঃ গাড়ির কাগজপত্রগুলো হলোঃ
- গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সনদ
- গাড়ির ট্যাক্স টোকেন সনদ
- গাড়ির ফিটনেস সনদ
- গাড়ির রুটপারমিট সনদ
প্রশ্নঃ 100 সিসি মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি কত?
উত্তরঃ 100 সিসি এর মোটরসাইকেল এর জন্য মূল নিবন্ধন ফি ৪২০০ টাকা।
প্রশ্নঃ গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি লাগে?
উত্তরঃ গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করতে যে সকল ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয় সেগুলো
হলোঃ
- গাড়ি কিনার সময়ে ডিলারের স্বাক্ষর করা নির্ধারিত আবেদন পত্র
- বিল অব এন্ট্রি এবং ইনভয়েস ও এলসিএ এর একটি কপি
- সেল সার্টিফিকেট এর একটি কপি
- আয়কর এর প্রমাণপত্র
লেখকের মন্তব্য
আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো গাড়ির নাম্বার দিয়ে
মালিকের নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা বুঝতে পেরেছেন। এই রকম আরো তথ্যবহুল
আর্টিকেল প্রতিদিন নিয়োমিত পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url