কুয়েত ভিসার দাম কত - কুয়েত ফ্রি ভিসার দাম কত
আজকের পোস্টটিতে আমরা আপনাদের জন্য কুয়েত ভিসার দাম কত ও কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই আপনারা যদি কুয়েত ভিসার দাম কত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এখনি পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃআমরা সকলেই জানি যে কোন জায়গায় যাওয়ার পূর্বে সে দেশে যাওয়ার অনুমতি পত্র অর্থাৎ ভিসার প্রয়োজন হয়। আরে ভিসা ছাড়া কোন দেশে প্রবেশ করা অবৈধ।
ভূমিকা
কুয়েত হলো পুরো পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম ধনী এবং শক্তিশালী রাষ্ট্র। যে দেশের মুদ্রার মান অন্যান্য সকল দেশের মুদ্রার মানের থেকে অনেকটাই বেশি। এমনকি ডলার অথবা পাউন্ড এর মানের থেকেও কুয়েতের মুদ্রা দিনারের মান অনেকটাই বেশি। তাই প্রায় সকলের জন্যই কুয়েত হল একটি স্বপ্নের দেশ। যেখানে যাওয়ার কথা সবাই চিন্তা করেন।
তবে আপনি যদি কুয়েত যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কুয়েত যেতে হলে আপনার কত বছর বয়স দরকার, কুয়েত ফ্রি ভিসার দাম কত, কুয়েত যাওয়ার জন্য কি কি দরকার হবে, কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন কত এই সকল বিষয় সম্পর্কে আপনার জানা উচিত। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা এই সকল বিষয়গুলোই বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে
আমরা সকলেই জেনে থাকবো যে নিজ দেশ থেকে অন্য কোন দেশে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। অন্যথায় আপনি কখনোই সে দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট বা ভিসা কোনটাই করতে পারবেন না। তাই আপনার অবশ্যই অন্য কোন দেশে পাড়ি জমানোর জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠাটা জরুরী। আপনাদের মাঝে এমন অনেকে রয়েছেন যিনারা কুয়েত যাওয়ার জন্য কত বছর বয়স লাগে সেই সম্পর্কে জানতে চাই।
কুয়েত যাওয়ার জন্য বয়সের ক্ষেত্রে যদি আপনি আমাদের জিজ্ঞেস করেন তাহলে আমরা বলব এক্ষেত্রে আপনার বয়স অবশ্যই সর্বনিম্ন ১৮ হতে হবে। তবে কুয়েত যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য আলাদা আলাদা বয়স দরকার হয়। নিম্নে সেই সকল বিষয়গুলো বিস্তারিত আকারে তুলে ধরা হলো।
আপনি যদি কুয়েতে কাজের ভিসার জন্য যেতে চান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৮ বছর। আর আপনার সর্বোচ্চ বয়স ৫০ বছর হতে হবে। তবে অনেক সময় কাজের ক্ষেত্রে এই দেশের যাদের বয়স ২১ বছর থেকে ৪০ বছর তাদেরকে গ্রহণযোগ্যতা বেশি দেওয়া হয়।
- আপনি যদি সরকারিভাবে কুয়েত যেতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার বয়স হতে হবে ২১ বছর ন্যূনতম।
- আপনি যদি পর্যটন বিষয় কুয়েতে ঘুরতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে 27 বছর।
- আপনি যদি কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় কাজের জন্য যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ২৫ বছর। আর সর্বোচ্চ ৪০ বছরের মধ্যে আপনার বয়স সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।
- আপনি যদি কোম্পানির ভিসায় কুয়েতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বয়স ১৯ বছর থেকে ৪০ বছর এর মধ্যে হতে হবে
কুয়েত ভিসার দাম কত
আপনি যখনই নিজের দেশ ছেড়ে অন্য কোন দেশে যেতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনার অনুমতি পত্র বা ভিসার দরকার হবে। এখন আপনার মনে চিন্তা আসতে পারে এই ভিসার দাম কত। আপনি যদি কুয়েতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই এই ভিসার ধরন ভিন্ন হবে অন্য সকল ভিসার থেকে। কারণ ভিসার দাম নির্ধারণ করা হয় ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী।
যদি আপনি কুয়েত যেতে চান তাহলে কুয়েতের ভিসা নির্ধারণ করা হবে সেই দেশে আপনি কোন ধরনের কাজ করবেন তার ওপর। ধরন আপনি কুয়েতে যাবেন ভ্রমণ ভিসায় তাহলে এক্ষেত্রে আপনার ভিসার দাম একরকম চার্জ করা হবে। আবার আপনি যদি সেই দেশে যেতে চান কাজের জন্য অথবা পারিবারিক কারণে তাহলে আলাদা রকম ধরা হবে।
আরো পড়ুনঃ সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন ২০২৪
এখন আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে চান কাজের জন্য তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভিসার দাম দিতে হবে সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে এক্ষেত্রে ভিসার দাম নির্ভর করে থাকে আপনি যার কাছ থেকে ভিসা নিচ্ছেন অর্থাৎ এজেন্ট তার ওপরে। আবার এটা নির্ভর করে কত মেয়াদের জন্য আপনি ভিসা নিচ্ছেন তার ওপর।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। আপনার যদি কোন পরিচিত লোক না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে কোন দালালের মাধ্যমে এই বিষয়ে এজেন্সির কাছ থেকে ভিসা করতে হবে। আর এক্ষেত্রে ভিসার খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়। তাই এক্ষেত্রে আপনি যদি ভিসা করতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
কুয়েত ফ্রি ভিসার দাম কত
আপনি নিশ্চয় কুয়েত যাওয়ার জন্য ফ্রি ভিসা খোঁজ করছেন। আপনি যদি এই ফ্রি ভিসার খোঁজ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই বলব আপনাকে আজকের এই আর্টিকেলের এই টপিকটি আপনি একদম মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে আশা করছি আপনি কুয়েতে যাওয়ার জন্য ফ্রি ভিসার দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে যাবেন।
আমাদের বাংলাদেশে অনেক দালাল অথবা এজেন্সি রয়েছে যিনারা অনেক সময় বলে থাকবেন ফিরে আসার কথা। আসলে তারা এই ফ্রি ভিসার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছে প্রতারণা করে। তবে আপনি যদি সৌভাগ্যক্রমে ফ্রি ভিসা পেয়ে যান তাহলে এই ফ্রি ভিসার অনেকগুলো সুযোগ-সুবিধা আপনি ভোগ করতে পারবেন।
তার মধ্যে যে প্রধান একটি সুযোগ-সুবিধা টি হল নিজের ইচ্ছামত যে কোন কোম্পানিতে চাকরি করতে পারবেন। এই ভিসার মাধ্যমে আপনি অন্যান্য সকল বিচার থেকে এই বিষয়টি বেতন বেশি পাবেন। তবে আপনাদেরকে একটি কথা না জানালেই নয় বর্তমানে কয়েক সরকার এই ফ্রি ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
অনেক দালাল প্রতারক রয়েছেন জেনারা যেকোনো বন্ধ কোম্পানির নামে একটি জাল ভিসা বানিয়ে নিয়ে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে অনেক টাকা লুট করে নেয়। আপনি যদি কখনো ফ্রি ভিসা পেয়ে যান তাহলে অবশ্যই সেই বিষয়ে তদন্ত করে সঠিক তথ্য বের করে নিয়ে তারপরে যাবেন। বর্তমান সময়ে কুয়েতের একটি ফ্রি ভিসার দাম ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
কুয়েতে যাওয়ার জন্য তেমন একটা খরচ হয় না। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র খরচ হয় আপনার প্লেন ভাড়ার খরচ। আর আপনি সেখানে গিয়ে দুই একদিন ঘোরাফেরার জন্য আর খাওয়া-দাওয়ার জন্য যে টাকা খরচ করবেন এই টাকায় শুধু কুয়েতে যাওয়ার খরচ। কুয়েতের ভিসা ফ্রিতেই যে কোন দেশে কুয়েতের সরকার সরবরাহ করেন। কারণ তাদের অনেক শ্রমিক দরকার। আর এই সুযোগটা বাংলাদেশের দালালরা নেই।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি লটারি খেলে টাকা ইনকাম
বাংলাদেশের সব দালাল এই বিষয়গুলো ফ্রিতে নিয়ে আসে, আর নিয়ে এসেই আমাদের কাছে সেই ভিসা অনেক চড়া দামে বিক্রি করে। কুয়েতে যাওয়ার জন্য একেক দেশ থেকে একেক রকম খরচ পড়ে। তবে যদি বাংলাদেশের কথা বলি তাহলে এক্ষেত্রে আপনি যদি দালালের খপ্পরে না পরেন তাহলে আপনার কুয়েতে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ খরচ হবে ৫০ হাজার টাকা।
তবে আমাদের দেশের কিছু অসাধু এজেন্সি আর কিছু দালালরা মিলে এই খরচটাকে তারা ৭ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে। আপনার যদি কুয়েতের কোন নিজের লোক থেকে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি শুধু প্লেন ভাড়া দিয়েই কম খরচের মাধ্যমে কুয়েতে যেতে পারবেন খুব সহজেই।
কুয়েত যেতে কি কি লাগে
আমাদের মাঝে এমন অনেকে রয়েছেন জিনারা কুয়েত যাওয়ার জন্য আগ্রহী। তেমনি আপনিও একজন। কারণ আপনি কুয়েত যাওয়ার জন্য সেই সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে পৌঁছেছেন। তবে আপনাদের অবশ্যই জানা উচিত কুয়েত যাওয়ার জন্য আপনার ক্ষেত্রে কোন কোন ডকুমেন্টস লাগবে।
আপনি যদি এই বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই চলুন এখন এ বিষয়ে আমরা জেনে নেই। কারণ কুয়েত যাওয়ার জন্য এই সকল ডকুমেন্টস জমা দেওয়া সব থেকে বেশি জরুরী। তা না হলে আপনি কুয়েত যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হবেন।
- সবার প্রথমে যেটা লাগবে সেটি হল আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি
- পাসপোর্ট এর মেয়াদ অবশ্যই ছয় মাস থাকতে হবে
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- পাসপোর্ট এর ভেতরে দুই অথবা তার অধিক পেজ ফাঁকা থাকতে হবে
- লিগ্যাল আইডেন্টিটি ডকুমেন্ট
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা আপনার জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি
- আপনার মেডিকেল রিপোর্ট
- কোরোনার তিন ডোজ ভ্যাকসিনের টিকা কার্ড
আপনি যখন কুয়েতে যেতে চাইবেন তখন অবশ্যই উপরের উল্লেখিত এই সকল ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হবে। যদি আপনি এই সম্পর্কে কোন সন্দিহান হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার নির্বাচন করা এজেন্ট এর কাছে যোগাযোগ করবেন। সে ক্ষেত্রে তিনি আরো আপনাকে বিস্তারিত ভাবে সকল কিছু বুঝিয়ে দিবেন। আশা করছি বিষয়টি সম্পর্কে আপনি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত
কুয়েতে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেহেতু সকল দেশের মানুষের চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে সেহেতু কোম্পানির ভিসার দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে কারণ চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। আপনি যখন কুয়েতে যেতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনি যে কোম্পানির জন্য যেতে চাইবেন সেই কোম্পানির কাজের বেতন গুলো আপনি জানার চেষ্টা করবেন। চলুন তাহলে এই সম্পর্কে এখন জেনে নেওয়া যাক।
কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হবে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা এবং কাজের দক্ষতার উপর। আর এই কাজের দক্ষতার জন্যই সকলের বেতন ভিন্ন ধরনের কম বেশি হয়ে থাকে। আপনি যদি সেখানে কোম্পানিতে নতুন জয়েন করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি সর্বনিম্ন বেতন পাবেন ৩০ হাজার টাকা।
এভাবে কাজ করতে করতে আপনার যখন দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে তখন আপনার সেই বেতনের পরিমাণ ৮০ হাজার টাকা অথবা তার বেশি হয়ে যাবে। এমন অনেকে রয়েছেন জিনারা বর্তমানে এখন কুয়েতে কোম্পানির চাকরি করে এখন তাদের বেতন প্রায় এক লক্ষ টাকা অথবা তারও বেশি। কাজ করতে করতে আপনার যত দক্ষতা হবে আপনার বেতন আস্তে আস্তে তত বৃদ্ধি পাবে।
কুয়েত কোন কাজের বেতন কত
কুয়েতে গিয়ে আপনি সেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে একেক ধরনের কাজের ক্ষেত্রে একেক ধরনের বেতন নির্ধারণ করা হবে। প্রথম অবস্থায় আপনি কাজ শুরু করার মাধ্যমে প্রতি মাসে মিনিমাম ১৫০ দিনার থেকে ৩৫০ দিনার পর্যন্ত বেতন পাবেন। যেটা বাংলাদেশী টাকায় ৪০ হাজার টাকা থেকে 90 হাজার টাকার সমপরিমাণ। এছাড়াও অভার টাইম কাজ করার সুযোগ তো থাকছেই।
কুয়েতে এখন যে সকল কাজের চাহিদা অনেক বেশি সেই সকল কাজের জন্য আপনি বেদনা অনেক বেশি পাবেন। কুয়েতে যে সকল কাজের বর্তমানে এখন অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে সেই সকল কাজগুলো হল
- ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি
- রাজমিস্ত্রি
- প্লাম্বিং
- ইলেকট্রিশিয়ান
- ড্রাইভিং
উপরে উল্লেখিত এই সকল কাজের জন্য কুয়েত কেমন বেতন দেয় সেই সম্পর্কের নিচে আপনাদের একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে এখন এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ইলেকট্রিশিয়ানঃ ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ বর্তমানে কুয়েতে অনেক চাহিদা সম্পন্ন কাজ। এই কাজের জন্য আপনি বেতন পাবেন বাংলাদেশী ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে আস্তে আস্তে কাজ করতে করতে আপনার যখন দক্ষতা আরো বৃদ্ধি পাবে তখন আপনার ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনায়াসে প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন।
রাজমিস্ত্রি, ওয়েল্ডিং মিস্ত্রিঃ এই সকল কাজের জন্য কুয়েত সরকার প্রতি মাসে শ্রমিকদের বেতন দিয়ে থাকে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আপনি যদি এই কাজে ভালো পরিমাণে দক্ষ থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি ফোরম্যান পথের দায়িত্ব রত হয়ে এক লক্ষ টাকার উপরে প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্যাক্টরি কনস্ট্রাকশন ও রেস্টুরেন্টঃ ফ্যাক্টরি কনস্ট্রাকশনের অথবা রেস্টুরেন্টের এই কাজের জন্য কুয়েত সরকার বর্তমানে বেতন দিচ্ছে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা। এই কাজে আপনি ওভারটাইম ডিউটি করতে পারবেন। তার সাথে সাথে আপনি বোনাসও পাবেন।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে
আপনি যদি একজন বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন, আর আপনি যদি কুয়েত যাওয়ার জন্য মনস্থির করেন তাহলে অবশ্যই আপনার বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার ক্ষেত্রে কতটুকু সময় লাগতে পারে এ বিষয়ে একটু হলেও ধারণা নেওয়া উচিত। আপনাদের জানার জন্য এই ছোট্ট বিষয়টি নিয়ে আজকে আমরা হাজির হয়েছি। চলুন তাহলে এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার জন্য যে সময়টুকু লেগে থাকে প্রাসঙ্গিকত ভাবেই কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আসার জন্য ঠিক একই সময় লাগে। বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের দূরত্ব ৪২৮৬ কিলোমিটার। কুয়েত যাওয়ার জন্য দুই ধরনের ফ্লাইট পাওয়া যায়। সেগুলো হল
- ওয়ান স্টপ ফ্লাইট
- নন স্টপ ফাইট
আপনি যদি নন স্টপ ফ্লাইটে করে কুয়েত যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার সময় লাগবে ১২ ঘন্টা ২৫ মিনিট। আর যদি আপনি ননস্টপ ফ্লাইটে করে কুয়েত যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার সময় লাগবে ৫ ঘন্টা ৪০ মিনিট।
কুয়েত ভিসার দাম কত সেই সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ কুয়েতে ভিসা কত প্রকার?
উত্তরঃ কুয়েতে ভিসা সাধারণত ৩ প্রকারের হয়ে থাকে। সেগুলো হলো
- ডোমেস্টিক ভিসা
- ওয়ার্ক ভিসা
- ডিপেন্ডেন্ট ভিসা
প্রশ্নঃ কুয়েত ভিসা 18 মানে কি?
উত্তরঃ কুয়েত ভিসা 18 এর অর্থ হলো এটি একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এই ছাড়া এটি আর কিছুই নয়। এই ভিসাটি কাজের ভিসা নামেও অনেকের কাছে পরিচিত।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ টু কুয়েত কত ঘন্টা লাগে?
উত্তরঃ বাংলাদেশ টু কুয়েত ৫ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় লাগে।
প্রশ্নঃ কুয়েত ভিসার মেয়াদ কতদিন?
উত্তরঃ কুয়েতের একটি ভিসা আপনি হাতে পাওয়ার পরে ৩ মাস আপনাকে দেশে থাকার জন্য অনুমতি দিবে। এই ভিসাটি যখন আপনার জন্য ইস্যু হয়ে যাবে তার পরে থেকে আপনি ৩০ দিনের মধ্যে আপনি শুধু একবার কুয়েতে প্রবেশ করার জন্য ব্যাবহার করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ কুয়েত এর টাকার মান কত?
উত্তরঃ কুয়েতের ১ দিনারের দাম বাংলাদেশি টাকায় ২৮০.৭১ টাকা।
শেষ কথা
আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো কুয়েত ভিসার দাম কত সেই সম্পর্কে। তার পাশাপাশি আমরা আরো অনেক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে উক্ত সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। এমন আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রীতে পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url