২০২৫ সালে শীর্ষ অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা (সেরা ৩০+ পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া)
সাধারণত অনেক ভাবে পাইকারি ব্যবসা করা যায় অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা কিভাবে
করবেন তার সব রকমের দিক নির্দেশনা খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।আপনারা
শুধু আমাদের আর্টিকেলেটি পড়বেন তাহলে সবকিছু জানতে পারবেন।আবার অল্প পুজিতে সেরা
২০টি পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কেও জানিয়ে দেওয়া হবে।
তাই আপনি যদি অল্প টাকার মাধ্যমে দেশে একটি পাইকারি ব্যবসা শুরু করে লাভবান হতে
চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে
পড়লে আশা করি আপনি সঠিক পাইকারি ব্যবসা করতে পারবেন।
পোস্টসূচিপত্রঃ
অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে চাকরির পাশাপাশি মানুষ ব্যবসাকে মূল্যায়ন করতে
শুরু করেছে।এখন আর মানুষ ব্যবসাকে ছোট করে দেখেন না।সমস্ত ব্যবসার মধ্যে অত্যন্ত
লাভজনক এবং সহজ ব্যবসা হচ্ছে পাইকারি ব্যবসা।পাইকারি ব্যবসা করে অল্প পরিশ্রমের
মাধ্যমে ভালো মুনাফা অর্জন করা যায় বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনকারীর কাছ থেকে ক্রয়
করার পর।
সেগুলো খুচরা বিক্রয় কারীদের কাছে বিক্রি করাই মূলত একজন পাইকার ব্যবসায়ীর
কাজ।আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা নতুন করে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু
শুরু করার মত যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনাদের কাছে নেই।তাহলে আমার এই সম্পূর্ণ
পোস্টটি পড়ুন।এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি অল্প পুঁজিতে কিভাবে পাইকারি ব্যবসা
শুরু করবেন তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করা যায়
এছাড়াও আপনি অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা শুরু করে কিভাবে লাভবান হবেন তাও
ব্যাখ্যা করব।তাই সম্পূর্ণ জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।চলুন দেরি না করে শুরু করা
যাক।
অল্প পুজিতে সেরা ২০টি পাইকারি ব্যবসা
বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অল্প পুজিতে বেশ কয়েকটি ব্যবসা রয়েছে।তাইতো
আপনারা যখন সেই ব্যবসাগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন তখন কিন্তু আপনাদের ব্যবসা করতে
মন চাইবে।তাইতো অল্প পুজিতে সেরা ২০টি পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদের খুব
ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।যেমন,
- মুদি মালামাল পাইকারি বিক্রয়
- কাগজের প্যাকেট তৈরি করা
- স্টেশনারি পণ্য পাইকারি বিক্রয়
- কসমেটিক্স মালামালের ব্যবসা
- বাচ্চাদের খেলনা ব্যবসা
- কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা
- ফলের পাইকারি ব্যবসা
- পাইকারি মধু বিক্রি করা
- বেকারের পাইকারি ব্যবসা
- কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা
- ওয়েবসাইট বিক্রির ব্যবসা
- পাইকারি টেলিকমের ব্যবসা
- ফাস্টফুডের দোকান
- ড্রপ শিপিং করা
- ইলেকট্রনিক্সের পাইকারি ব্যবসা
- অটোমোবাইল যন্ত্রাংশের ব্যবসা
- ফটোগ্রাফি করা
- দর্জির দোকান করা
- টিউশন সেন্টার করা
- ক্রীয়া সামগ্রী ব্যবসা
আপনি চাইলে উপরের দেখানো যে কোন একটি ব্যবসা অনায়াসে অল্প পুঁজিতে করতে
পারেন।উক্ত ব্যবসা গুলো সম্পর্কে আমি নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।তবে আপনাকে
উক্ত ব্যবসার সম্পর্কে জানার আগে মূলত পাইকারি ব্যবসাটা কি তা জানতে হবে।আসলে
পাইকারি ব্যবসা এমন একটি প্রথা, যার মাধ্যমে আপনাকে উৎপাদনকারীর কাছ থেকে
উৎপাদনকৃত পণ্য ক্রয় করতে হয়।
এর পরবর্তীতে সেগুলো অল্প দাম অর্থাৎ পাইকারি হিসেবে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে
বিক্রি করতে হয় এবং খুচরা বিক্রেতারা সেগুলো মানুষের কাছে বিক্রি করে থাকে।এই
পাইকারি ব্যবসায় আপনি প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।তার কারণ হচ্ছে,
আপনি আপনার টাকা ইনভেস্ট করে উৎপাদনকারীদের থেকে পণ্য কিনে সেগুলো আবার খুচরা
বিক্রেতার কাছে বিক্রি করবেন।
এতে করে খুব সহজে আপনি অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন।মূলত পাইকারি ব্যবসায় আপনাকে
তেমন একটা কষ্ট করতে হয় না শুধু টাকা ইনভেস্ট করতে হয়।অর্থাৎ অল্প কষ্টের
ব্যবসার মধ্যে পাইকারি ব্যবসা।চলুন এবার উপরের দেখানো পাইকারি ব্যবসা গুলো
সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মুদি মালামাল পাইকারি বিক্রয়ঃ
আমাদের অল্প পুজিতে ব্যবসার শুরুতেই রয়েছে মুদি মালামাল বিক্রয়।সাধারণত পাইকারি
দরে মুদি মালামাল বিক্রয় করা খুবই সহজ কাজ।সে ক্ষেত্রে আপনি নির্দিষ্ট একটি
জায়গায় অথবা বাজারে আপনি একটি গোডাউন ঘর তৈরি করুন অথবা ভাড়া করুন।এর
পরবর্তীতে আপনি মুদিমালামাল উৎপাদনকারীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট টাকা ইনভেস্ট করে।
পন্য ক্রয় করে কিনে আনুন এবং উক্তপূর্ণ গুলো আপনার গোডাউনে মজুদ রাখুন।এর
পরবর্তীতে আপনার মজুদকৃত মালামাল বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের অথবা দোকানদারের
কাছে বিক্রি করুন।সাধারণত একজন খুচরা বিক্রেতা সব সময় পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছ
থেকে কম মূল্য পাওয়ার জন্য পণ্য ক্রয় করে থাকে।আমি নিচে মুদি মালামালের কিছু না
উল্লেখ করছি।যেগুলো দিয়ে আপনি প্রাথমিকভাবে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।যেমন,
- আটা
- হলুদ
- মরিচ
- চাল
- ডাল
- গম
- গরম মসলা
- জিরা সহ বিভিন্ন পণ্য
মন্তব্যঃ
তবে উক্ত পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা ইনভেস্ট করতে
হবে তাহলে আপনি উক্ত ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।আর আপনাকে উক্ত ব্যবসা শুরু করার
জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি গোডাউন অথবা দোকান ঘর দরকার হবে।আপনার যদি নিজস্ব জমি
থাকে বাজারের উপরে তাহলে আপনি একটি গোডাউন তৈরি করতে পারেন অথবা যদি জমি না থাকে
তাহলে একটি গোডাউন ঘর ভাড়া নিতে পারেন।
কাগজের প্যাকেট তৈরি করাঃ
আমরা অনেকেই কাগজের প্যাকেট অথবা ঠঙ্গা সম্পর্কে জানি।সাধারণত বিভিন্ন মালামাল
প্যাকেজিং এর ক্ষেত্রে অথবা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্যাকেজিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহার
করা হয়ে থাকে কাগজের ঠোঙ্গা।এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে উক্ত
কাগজের ঠোঙ্গা অথবা প্যাকেট।আর এই কাগজের প্যাকেট ব্যবহারের ফলে আমাদের পরিবেশের
ভারসাম্য বজায় থাকে।
যার কারণে এর ব্যবহার ২০০১ সাল থেকে শুরু করে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে
বেড়ে গেছিল।কিন্তু আস্তে আস্তে বাজারে আসতে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পলিথিন।যার
কারণে ধীরে ধীরে কাগজের প্যাকেটের চাহিদা কমতে থাকে।কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে
মানুষ পলিথিনের পাশাপাশি খাবারের ব্যবহার শুরু করলেন কাগজের প্যাকেট।
কারণ শুধুমাত্র পলিথিনে খাবারের মান ঠিক থাকে না এবং লোকসমূহ খাবারগুলোকে দেখতে
পাই।যার কারণে মানুষ পলিথিনের পাশাপাশি এখন ব্যবহার করছে কাগজের ঠোঙ্গা।সে
ক্ষেত্রে উক্ত পাইকারি ব্যবসা শুরু করলে আপনাকে প্রথমত খুবই অল্প পরিমাণে টাকা
ইনভেস্ট করতে হবে।আপনি সর্বপ্রথম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসাটি
শুরু করতে পারেন।
আপনি চাইলে দুই পদ্ধতিতে উক্ত ব্যবসাটি করতে পারেন। যেমন,নিজে কাগজের প্যাকেট
তৈরি।অথবা বিভিন্ন ধরনের কাগজ তৈরি করা থেকে সংগ্রহ।আপনি যদি চান তাহলে নিজে
কারখানা তৈরি করে কয়েকজন শ্রমিক নিয়োগ করে শুরু করতে পারেন কাগজের প্যাকেট
তৈরির কাজ।আর যদি এটা আপনার ভালো লেগে না থাকে তাহলে আপনি চাইলে এমন কারখানার
মালিকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
যারা কাগজের ঠোঙ্গা বানায় এবং তাদের থেকে কাগজের প্যাকেট গুলো ক্রয় করে আপনি
ব্যবসা শুরু করতে পারেন।আপনি কাগজের প্যাকেট গুলো ক্রয় করে আনার পর উক্ত প্যাকেট
গুলো খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
স্টেশনারি পণ্য পাইকারি বিক্রয়ঃ
ওপরে দেখানো দুইটি বিজনেস আইডিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ইউনিক আইডিয়া হচ্ছে স্টেশনারি
পণ্য বিক্রয় করা।উক্ত ব্যবসায় আপনি যদি সঠিক উপায়ে পণ্য বিক্রয় করতে
পারেন।তাহলে আপনি প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন অন্যান্য ব্যবসার
থেকে।আমরা সকলেই জানি যে বাংলাদেশ প্রচুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।আর উক্ত
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জিনিসের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
আপনার কাছে যদি অল্প টাকা থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।মূলত এই
ব্যবসাটিতে খুব বেশি পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন হয় না।চলুন এবার কি কি পণ্য নিয়ে
ব্যবসা শুরু করবেন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক। যেমন,
- কাগজ
- বিভিন্ন ধরনের কলম
- রুলার
- পিন মেশিন
- রাবার
- চক
- খাতা ইত্যাদি
সে ক্ষেত্রে আপনি উক্ত ব্যবসাটি শুরু করতে চাইলে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে উপরের
দেখানো পণ্যগুলো ক্রয় করে এনে।সেই পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারেন বিভিন্ন খুচরা এবং
ছোট বিক্রেতাদের কাছে।সাধারণত স্টেশনারি পণ্যতে অল্প পুঁজিতে প্রচুর পরিমাণ অর্থ
উপার্জন করা যায়।সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি অল্প পুঁজিতে কোন পাইকারি ব্যবসা শুরু
করতে চান তাহলে আমার মতে স্টেশনারি পণ্য বিক্রয় শুরু করতে পারেন।
কসমেটিক্স মালামালের ব্যবসাঃ
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে কসমেটিক্স সামগ্রী লাগে না এমন কোন মানুষ পাওয়া
খুবই দুষ্কর ব্যাপার।নিত্য প্রয়োজনে মানুষ ব্যবহার করে থাকে নানান কসমেটিক
সামগ্রী।তাই আমার মতে কসমেটিক্স মালামালের ব্যবসা অত্যন্ত লাভবান একটি
ব্যবসা।কিন্তু অন্যান্য ব্যবসার থেকে কসমেটিক্স এর ব্যবসায় আপনাকে একটু বেশি
টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।
শুরুতে আপনাকে দেড় থেকে তিন লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।তারপরে আপনি ব্যবসাটি
শুরু করতে পারবেন।যেমন এই ব্যবসায় আপনাকে বেশি মূলধন ব্যয় করতে হচ্ছে শুরু
করতে।ঠিক তেমনি আবার আপনি খুব দ্রুত অনেক টাকার লাভ করতে পারবেন।আর আপনারা জানেন
যে,বর্তমানে কসমেটিকসের চাহিদা কত পরিমাণে বেড়েছে।
সে ক্ষেত্রে আপনি,বিভিন্ন কসমেটিক্স কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের কোম্পানির
বিভিন্ন কসমেটিক্স পণ্য অল্প দামে ক্রয় করবেন।ক্রয় করার পর উক্ত পণ্যগুলো আপনি
বাজারের অন্যান্য খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পাইকারি দামে বিক্রি করবেন।বর্তমান
প্রেক্ষাপটে কসমেটিকসের চাহিদা প্রচুর তাই এই ব্যবসায় আপনি খুব তাড়াতাড়ি
লাভবান হতে পারবেন।তাই দেরি না করে শুরু করে দিন কসমেটিক্স মালামালের ব্যবসা।
বাচ্চাদের খেলনার ব্যবসাঃ
আমাদের লিস্টের সর্বশেষ ব্যবসাটি হচ্ছে বাচ্চাদের খেলনার ব্যবসা।তবে আপনি যদি এই
ব্যবসাটি শহরে তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে এটি ভালো হবে।তার কারণ হচ্ছে
গ্রামের চেয়ে শহরে বাচ্চাদের খেলনার চাহিদা বেশি।সেক্ষেত্রে আপনি যদি শহরে
ব্যবসাটি শুরু করেন তাহলে আপনি একটি লাভজনক ব্যবসা তৈরি করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে প্রতিটি বাচ্চায় বিভিন্ন ধরনের খেলনা জাতীয় জিনিস পছন্দ করে।যার
কারণে বাজারে এর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।আমার মতে এটি একটি ইউনিক
এবং লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া।আর আপনি খুবই অল্প পরিমাণ টাকায় উক্ত ব্যবসাটি শুরু
করতে পারেন।প্রথমে আপনি চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে অনায়াসে ব্যবসাটি
শুরু করতে পারবেন।
উক্ত ব্যবসার জন্য অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের খেলনা ইমপোর্ট করতে হবে।আর
ইমপোর্ট করা দেশের মধ্যে সবচেয়ে অল্প দামে পাওয়া যায় চায়না তে।সে ক্ষেত্রে
আপনি সরাসরি চায়না থেকে বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন ডিজাইনের খেলনা খুব
সহজেই ইমপোর্ট করে সেগুলো পাইকারি দামে বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করতে
পারবেন।
এতে করে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে আপনি খুব ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করতে
পারবেন।তাই দেরি না করে অল্প পুজিতে নিজের ব্যবসা শুরু করুন এবং লাভবান হন।
কাপড়ের পাইকারি ব্যবসাঃ
সাধারণত আপনারা যদি আপনাদের বাসার আশেপাশে অথবা বাজারে হাটে কাপড়ের দোকান করতে
পারেন তাহলে কিন্তু সফল ভাবে ইনকাম করতে পারবেন।কারণ এই কাপড়ের দোকানের পাইকারি
ব্যবসাও কিন্তু খুবই ভালো চলবে আবার খুরচা ব্যবসা কিন্তু খুব ভালো চলবে।তাই
আপনারা যদি ভালোভাবে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন।
কারণ একটি কাপড় ১০০ টাকা দিয়ে কিনে ৩০০ টাকায় বিক্রি করবেন।এখানে সম্পূর্ণ
ফ্রিতেই আপনারা ২০০ টাকা লাভ করতে পারবেন।আবার কাপড় কোনরকম নষ্ট হওয়ার বা পচে
যাওয়ার বা কোন রকমের তেমন কোন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।তাই কাপড়ের ব্যবসায় লাভ
বেশি কোন রকমের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তাইতো আপনারা অবশ্যই কাপড়ের ব্যবসা গুলো করবেন তাহলে ভালো ইনকাম করতে পারবেন মাস
শেষে।তবে কাপড়ের ব্যবসা হচ্ছে একটি অল্প পুঁজির ব্যবসা তাই আপনারা নিঃসন্দেহে
করতে পারেন।তবে আপনারা কি কি কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন তা নিচে জানিয়ে
দেওয়া হলো:
- ছেলেদের শার্ট প্যান্ট
- মেয়েদের বিভিন্ন রকম জামা কাপড়
- ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন রকম জামা কাপড়
- ছেলেদের লুঙ্গি
- বিভিন্ন রকম সিট কাপড়
- বয়স্ক মহিলাদের জন্য শাড়ি
- অথবা আরো বিভিন্ন রকম কাপড়
ফলের পাইকারি ব্যবসাঃ
সাধারণত আপনারা যদি বিভিন্ন রকম ফলের ব্যবসা গুলো করেন তাহলে করতে পারেন।কারণ
ফলের পাইকারি ব্যবসা যদি আপনারা করেন তাহলে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।কারণ
মৌসুমী সিজনে যেই দেশীয় ফলগুলো আপনারা পেয়ে যাবেন সেই ফলগুলো গ্রামে গ্রামে
থেকে কিনে নিয়ে তারপরে বিভিন্ন শহরে বা বিভিন্ন বাজারে।
পাইকারি ভাবে বিক্রি করতে পারেন এখান থেকেও দেখবেন যে আপনার ভালো পরিমাণে একটা
মুনাফা থাকবে।তাই আপনারা বিভিন্ন মৌসুমে ফলের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন কারণ
ফলের পাইকারি ব্যবসা হচ্ছে অল্প পুঁজির ব্যবসা তাই এই ব্যবসাটাও আপনারা
নিঃসন্দেহে করে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।তবে আপনারা মৌসুমী সিজিনে যেসব ফলগুলোর
ব্যবসা করবেন তা নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
- আম
- জাম
- কাঁঠাল
- কলা
- বরই
- তেঁতুল
- বেল
- আনারস
- পেয়ারা
- ড্রাগন
- ফল
- জলপাই
- কামরাঙ্গা
- আমড়া ইত্যাদি
পাইকারি মধু বিক্রি করাঃ
সাধারণত আপনারা যদি অনলাইনের মাধ্যমে বা অফলাইনের মাধ্যমে মধু বিক্রি করতে পারেন
তাহলেও কিন্তু ভালোভাবে ইনকাম করতে পারবেন।সাধারণত মধু বিক্রি করে ব্যবসা করা
হচ্ছে খুবই ভালো বিষয়।কারণ এখন বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ হয়ে থাকে আবার বন জঙ্গল
থেকেও কিন্তু বিভিন্নভাবে মধু সংগ্রহ করা হয় সেখান থেকে আপনি ডাইরেট পাইকারিভাবে
মধু কিনে নিয়ে খুরচা অনলাইন এর মাধ্যমে অথবা অফলাইনে দোকান তৈরি করে বিক্রি করতে
পারেন।
তাহলে তখন দেখবেন যে মাস শেষে আপনার ভালো একটি মুনাফা অর্জন হয়ে যাবে।কারণ অল্প
পুঁজির ব্যবসা হিসেবে এই মধু বিক্রি করা বা মধুর ব্যবসা করাও কিন্তু খুবই ভালো
সহজ।কারণ অল্প পুজি যেহেতু তাই দ্রুত কিনতে পারবেন এবং দ্রুত বিক্রি করতেও
পারবেন।তাহলে তখন দেখবেন যে আপনার দ্রুত কিছু মুনাফা অর্জন হয়ে যাবে সে মুনাফা
দিয়ে আবার অন্য কাজ করতে পারবেন।
বেকারির পাইকারি ব্যবসাঃ
সাধারণত আপনারা নিজেদের বাড়িতেই বেকারি তৈরি করতে পারেন।তখন বিভিন্ন রকমের কেক
পাউরুটি বিস্কুট তৈরি করে পাইকারি ভাবে বিক্রি করতে পারেন।তবে বিভিন্ন রকম খাবার
জিনিস বা বেকারি সামগ্রী যখন আপনারা পাইকারি বিক্রি করবেন তখন কিন্তু প্রচুর
পরিমাণে লাভ হবে।তাইতো এই ব্যবসাটি আপনাদের করতে হবে কারণ বেকারির পাইকারি ব্যবসা
কিন্তু খুবই ভালো।
তাই আপনারা এই ব্যবসাটি করতে পারলে তখন দেখবেন যে পরবর্তীতে আপনাদের আর কোন
ব্যবসা করতে হচ্ছে না।কারণ এই ব্যবসাটি অল্প জায়গার মধ্যেই বেকারি তৈরি করে
নিজের বাড়িতেই তৈরি করে অল্প টাকা খরচ করে অধিক মালামাল তৈরি করে পাইকারি ভাবে
বিভিন্ন দোকানে সেল দিয়ে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।তবে কি কি পণ্যের বেকারি
ব্যবসা করা যায় তা নিচে দেওয়া হলো:
- কেক
- পাউরুটি
- বিস্কু
- ছোট কেক
- বড় কেক
- বিভিন্ন রকমের চানাচুর ইত্যাদি সামগ্রী।
কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসাঃ
সাধারণত আপনারা কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন কারণ অনেক কোম্পানির
মালিকেরা কাঁচামাল গুলো কিনে থাকে।তখন আপনারা বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঁচামাল কিনে
এনে যদি কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে পারেন তাহলে কিন্তু ভালো পাইকারি ব্যবসাও
করতে পারবেন এবং ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
যেহেতু কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা করে ভালো মুনাফা অর্জন হয় তাই আপনারা এই
ব্যবসা করতে পারেন।কাঁচামালের যেসব পণ্যগুলো নিয়ে ব্যবসা করবেন তা নিচে দেওয়া
হলো:
- গরু চামড়া
- ছাগলের চামড়া
- আলু
- পেঁয়াজ
- ডাল
- মরিচ ইত্যাদি।
ওয়েবসাইট বিক্রির ব্যবসাঃ
সাধারণত আপনারা যদি কেনাবেচার ব্যবসা করেন তাহলেও কিন্তু ভালো ইনকাম করতে
পারবেন।তাইতো ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনারা যদি বিক্রি করতে পারেন সেখান
থেকেও ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।তাছাড়া যদি অন্যের কাছে থেকে ওয়েবসাইট
কিনে নিয়ে তারপরে এক-দু হাজার টাকা লাভ করে আপনি যদি বিক্রি করতে পারেন তাহলেও
সেখান থেকে ভালো মুনাফা অর্জন হবে।তাই ওয়েবসাইট কেনা-বেচার ব্যবসাটা আপনারা
করতে পারেন।
পাইকারি টেলিকমের ব্যবসাঃ
সাধারণত টেলিকমের পাইকারি ব্যবসা যদি আপনারা করেন তাহলে কিন্তু ভালো মুনাফা অর্জন
করতে পারবেন।কারণ টেলিকমের দোকান মানে হচ্ছে মোবাইলের যন্ত্রাংশ এবং বিভিন্ন রকম
মোবাইল বিভিন্ন রকম যন্ত্রাংশ থাকবে।তখন সেগুলো আপনারা পাইকারি ভাবে সেল দিবেন
অথবা পাইকারি কিনে নিয়ে এসে খুচরা ভাবে বিক্রি করলে ভালো মুনাফ অর্জন করতে
পারবেন।তাই আপনারা এই ব্যবসাটি করতে পারেন।
ফাস্টফুডের দোকানঃ
সাধারণত ফাস্টফুডের দোকান এখানে সেখানে খুবই কিন্তু কম দেখা যায় তাই আপনারা এই
ফাস্টফুডের দোকান দিয়েও ভালো ইনকাম করতে পারবেন।কারণ বিভিন্ন রকম ফাস্টফুড এর
দোকান যখন দেবেন তখন কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এসে আপনার দোকানে
ভাজাপোড়া খেয়ে যাবে বিভিন্ন রকম জিনিস খেয়ে যাবে।
তখন কিন্তু আপনারা দোকানে প্রচুর পরিমাণে ভিড় হবে ব্যবসা ভালো হবে এবং ইনকামও
ভালো হবে তাই আপনারা এই ব্যবসা করতে পারেন।
ড্রপ শিপিং করাঃ
সাধারণত যে কোন পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা এবং ক্রেতাকে সঠিকভাবে পণ্য
সরবরাহ করা কেই বলে ড্রপ শিপিং তাই আপনারা এই ব্যবসা করে ভালো ইনকাম করতে
পারবেন।আরো অনেক মানুষ আছে যারা এখনো অনলাইন থেকে প্রচুর পরিমাণে পণ্য কিনে
থাকে।তাই আপনারা একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখান থেকে আপনারা
ফেসবুক পেজে বিভিন্ন পণ্যের অ্যাড দিয়ে তারপরে পণ্য বিক্রি করতে পারেন তাহলে
সেখান থেকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
ইলেকট্রনিক্সের পাইকারি ব্যবসাঃ
সাধারণত যত রকমের ইলেকট্রনিক্স এর যন্ত্রাংশ গুলো আছে সব নিয়ে কিন্তু আপনি
পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন।কারণ ইলেকট্রনিক পণ্যগুলো কিন্তু এখন কার যুগে প্রচুর
পরিমাণে সেল হয়।কারণ বাসা বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ বা
বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র লাগানোর কারণে প্রচুর মানুষ এই ইলেকট্রনিক মালগুলো পাইকারি
ভাবে কিনে নিয়ে থাকে সেখান থেকে আপনারা প্রচুর পরিমাণে সেল হতে পারে এবং সেল
হলেই তখন ভালো ইনকাম হবে।তাই আপনারা এই ব্যবসাটি করতে পারেন ভালো ইনকাম হবে।
অটোমোবাইল যন্ত্রাংশের ব্যবসাঃ
সাধারণত আপনারা যদি বিভিন্ন রকম অটোমোবাইল যন্ত্রাংশনের ব্যবসা করতে পারেন তাহলেও
কিন্তু মাস শেষে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।কারণ শুধু অটোমোবাইল বললেই মোবাইল ফোন
নয়।মোবাইল ফোনে যত যন্ত্রাংশ আছে সব কিন্তু এই অটোমোবাইল এর আওতায় পড়ে।তাই
আপনারা এই অটোমোবাইলের বিভিন্ন রকম যন্ত্রাংশ গুলোর ব্যবসা করেও কিন্তু ভালো
ইনকাম করতে পারবেন তাই আপনারা এই ব্যবসাটি করতে পারেন।
ফটোগ্রাফি করাঃ
সাধারণত ফটোগ্রাফি করে ইনকাম করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা
কিনতে হবে।তারপরে মানুষের ফটোগ্রাফি করার মাধ্যমে আপনি ভালো ইনকাম করতে
পারবেন।কারণ প্রতি পিচ ফটোগ্রাফির জন্য আপনারা যদি ৫ টাকা করে নেন তাহলে ১০০ ফটো
তুললে সারা দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম হয়ে যাবে।তাই ফটোগ্রাফি করে ইনকাম করা হচ্ছে সব
থেকে ভালো তাই আপনারা এটি করতে পারেন।
দর্জির দোকান করাঃ
সাধারণত দর্জির কাজ করে ইনকাম করাও কিন্তু ভালো।কারণ দর্জির কাজ করতে হলে
সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ভালো দোকান দিতে হবে দোকান না দিলেও বাড়িতে যদি একটা
সেলাইয়ের মেশিন কিনেন তাহলেও কিন্তু আপনার কাছে অনেক মানুষ আসবে তখন কিন্তু
সেগুলো থেকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।তাই বাড়িতে বসে থেকেই কাপড় সেলাই করে ইনকাম
করা কিন্তু খুবই ভালো বিষয় তাই আপনারা এটি করে ইনকাম করতে পারেন।
টিউশন সেন্টার করাঃ
সাধারণত আপনারা একটি টিউশন সেন্টার খুলতে পারেন কারণ টিউশনি করে ইনকাম করা কিন্তু
একবারে ভালো ইনকাম।টিউশন করিয়ে ইনকাম করতে হলে তেমন কোন টাকা ইনভেস্ট করতে হয়
না।শুধু আপনারা যেই বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয়েইকে কাজে লাগিয়ে আপনারা টিউশন
করিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
ক্রীয়া সামগ্রী ব্যবসাঃ
সাধারণত আজকাল কিন্তু ক্রীয়া সামগ্রী দাম কিন্তু অনেক বেশি তাই আপনারা এই
সামগ্রীর ব্যবসাটি করে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।ফুটবল ক্রিকেটে ভলিবল ব্যাডমিন্টন
ইত্যাদি খেলা খেলে তখন কিন্তু সেই খেলার সামগ্রীগুলো প্রয়োজন হয়ে থাকে।তাই
আপনারা ক্রীয়া সামগ্রী বা খেলা সামগ্রীর দোকান দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
অল্প পুজিতে আরো কিছু পাইকারি ব্যবসা
সাধারণত আপনারা যদি মনে করেন অল্প পুঁজির মধ্যে বিভিন্ন রকম পাইকারি ব্যবসা করবেন
তাহলে কিন্তু করতে পারবেন।তাইতো অল্প পুজিতে আরো কিছু পাইকারি
ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত এই ব্যবসা
গুলো সম্পর্কে যদি আপনারা খুঁটিনাটি ভাবে সব তথ্য গুলো ভালোভাবে জানতে পারেন।
তাহলে অবশ্যই আপনারা ব্যবসা করে কিছু পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।তাইতো অল্প
পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালোভাবে পড়ে দেখে
জেনে নিতে হবে তাহলে পরবর্তীতে বিভিন্ন রকম ভাবে ব্যবসা করতে গেলে তখন আপনাদের আর
তেমন কোন সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না।
কারণ বিভিন্ন রকম পাইকারি ব্যবসার আয় ব্যয় এবং পাইকারি ব্যবসা করতে কত টাকা খরচ
হবে সব রকমের তথ্য কিন্তু এই আর্টিকেলের মধ্যে খুব ভালোভাবে দিয়ে দেওয়া
হয়েছে।আপনারা ভালোভাবে ধৈর্য ধরে আমাদের পুরো আর্টিকেলটি পড়ে দেখে জেনে
নিন।তাইতো নেচে বিভিন্ন রকম পাইকারি ব্যবসার তালিকা দেওয়া হলো:
- মাছের পাইকারি ব্যবসা
- প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবসা
- কসমেটিকস পণ্যের ব্যবসা
- স্টেশনারি সামগ্রী ব্যবসা
- মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসা
- বিভিন্ন খেললার ব্যবসা
- চশমা ও ঘড়ি ব্যবসা
- গিফট আইটেমের ব্যবসা
- বিভিন্ন ফল ব্যবসা
- কাঁচামালের ব্যবসা
- মসলার ব্যবসা
- জুতা ও স্যান্ডেলের ব্যবসা
- ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবসা
- বেকারি ব্যবসা
- গার্মেন্টস সামগ্রী ব্যবসা
- বিভিন্ন ব্যাগ বিক্রি ব্যবসা
- সৌখিন সামগ্রী ব্যবসা
- পেপার হাউস ব্যবসা
- বেটসিট ব্যবসা
- নকশী কাঁথার ব্যবসা
- টয়লেট এক্সেসরিজের ব্যবসা
সাধারণত আপনারা এই ব্যবসাগুলো পাইকারি ভাবে করতে পারেন।তবে এই ব্যবসা গুলো করতে
কেমন টাকা খরচ হবে তা কিন্তু আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে খুব ভালোভাবে জানিয়ে
দেওয়া হয়েছে।সর্বপ্রথম আপনারা যে ব্যবসায়ী করেন না কেন অবশ্যই আমাদের
আর্টিকেলটি পড়ে ভালোভাবে সবকিছু জেনে তারপরের ব্যবসা করবেন।
তাহলে দ্রুত উৎপাদন করে লাভবান হতে পারবেন।তাইতো অল্প পুঁজিতে যেসব ব্যবসা গুলো
করবেন তা নিচে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হলো:
মাছের পাইকারি ব্যবসাঃ
সাধারণত বিভিন্ন রকম মাছগুলো নিয়ে আপনারা পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন।তবে প্রথমে
আপনারা দোকান দিবেন তারপরে সেই দোকানে বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছগুলো কিনে নিয়ে
এসে পাইকারি ব্যবসা করবেন তাহলে তখন দেখবেন যে আপনার কাছে বিভিন্ন রকম যারা হাটে
ঘাটে বাজারে ব্যবসা করে তারা এসে মাছ কিনে নেবে।
তখন কিন্তু আপনার সেখান থেকে একটি ভালো সেল হবে এবং ভালো সেল হলে ভালো ইনকাম
হবে।তাই আপনারা পাইকারি মাছের ব্যবসা গুলো করতে পারেন।
প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবসাঃ
সাধারণত আপনারা যদি মনে করেন তাহলে বাজারে বা হাটে ঘাটে একটি প্লাস্টিকের দোকান
দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।সাধারণত প্লাস্টিকের ব্যবসাতে দ্বিগুণ পর্যন্ত লাভ হয়ে
থাকে।তাই আপনারা এই প্লাস্টিকের ব্যবসা করতে পারেন ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
কসমেটিকস পণ্যের ব্যবসাঃ
সাধারণত মেয়েদের কসমেটিকসের বিভিন্ন রকম পণ্য কিনে নিয়ে এসে যদি আপনারা ব্যবসা
করেন তাহলেও কিন্তু ভালো ইনকাম করতে পারবেন।কারণ মেয়েদের কসমেটিক এর দাম কিন্তু
খুবই কম এইগুলো আপনারা বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করলে কেউ কোনদিন বুঝতে পারবে না।তাই
আপনারা কসমেটিক্স পণ্য থেকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন তাই এই ব্যবসাটি করবেন।
স্টেশনারি সামগ্রী ব্যবসাঃ
সাধারণত আপনারা যদি মনে করেন যে বিভিন্ন রকমের ব্যবসা করব তাহলে কিন্তু করতে
পারবেন।কারণে স্টেশনারি সামগ্রী গুলোর দাম কিন্তু খুবই কম তবে এগুলো বিক্রি করবেন
চওড়া দাম দিয়ে।তাছাড়া কেউ কোনদিন বুঝতেই পারবে না এইগুলো এত দাম দিয়ে কেন
বিক্রি করা হচ্ছে।তাই স্টেশনারি সামগ্রীর ব্যবসা হচ্ছে খুব ভালো তাই আপনার এটি
করে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসাঃ
সাধারণত মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসা হচ্ছে খুবই ভালো।তাই আপনারা এই ব্যবসা গুলো করতে
পারেন তাহলে তখন দেখবেন যে পরবর্তীতে ভালো আয় ইনকাম করতে পারছেন।কারণ অনেক মানুষ
আছে যারা মোবাইলে বিভিন্ন রকমের মোবাইল এক্সেসরিজ পণ্যগুলো কিনতে চাই কিন্তু তারা
খুঁজে পায় না তাই আপনারা এই ব্যবসাটি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিলে ভালো ইনকাম
করতে পারবেন।
বিভিন্ন খেলনার ব্যবসাঃ
সাধারণত ছোট বাচ্চাদের খেলনা গুলো নিয়ে আপনারা ব্যবসা করতে পারেন।কারণ ছোট
বাচ্চাদের খেলনা পণ্যগুলোর দাম কিন্তু খুবই কম তবে এগুলো কিন্তু বেশি দাম দিয়ে
বিক্রি করা যায় কেউ কোনদিন বুঝতে পারবে না।কারণ বিভিন্ন রকমের ছোট বাচ্চাদের
খেলনা কিন্তু খুবই বিক্রি হয়ে থাকে তাই আপনারা খেলনার ব্যবসা করতে পারেন ভালো
ইনকাম হবে।
চশমা ও ঘড়ির ব্যবসাঃ
সাধারণত ঘড়ি এবং চশমার ব্যবসা করতে হলে কিছুটা পরিমাণে মুনাফা দরকার হবে।কারণ
দামি রকমের ঘড়ি আবার দামি রকমের চশমা গুলো আছে সেগুলো কিনতে হলে একটু মোনাফা
লাগবে।তবে আপনারা একটু মুনাফা দিয়ে যদি ব্যবসাটি করতে পারেন তাহলে তখন দেখবেন যে
ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
কারণ একটি চশমা ঘড়ির সর্বনিম্ন লাভ থাকবে ২০০ টাকা তাই সারাদিনে আপনারা যদি
একটিও বেচতে পারেন তাহলে সারা দিনে ২০০ টাকা লাভ করতে পারবেন।
গিফট আইটেমের ব্যবসাঃ
সাধারণত বিভিন্ন রকম গিফট আইটেমের ব্যবসা হচ্ছে লাভজনক। কারণ বন্ধুবান্ধব অথবা
বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড কে এখনকার যুগে প্রচুর পরিমাণে গিফট দিয়ে থাকে। তাই যদি
আপনারা সব রকম গিফটের সামগ্রীকে নিয়ে একটি ভালো করে সাজিয়ে দিতে পারেন তাহলে
তখন ভালো চলবে।তাই সেখান থেকেও কিন্তু ভালো হবে কি করার মাধ্যমে ভালো আই ইনকাম
করতে পারবেন। তাই আপনারা এই ব্যবসাটি করতে পারেন।
বিভিন্ন ফল ব্যবসাঃ
সাধারণত মৌসুমী বিভিন্ন রকম ফল নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।কারণ বিভিন্ন মৌসুমে যখন
ফল উঠবে তখন সেই ফলগুলো পাইকারি দাম দিয়ে কিনে নিয়ে হাটে বাজারে যেয়ে আবার
পাইকারি দাম দিয়ে বিক্রি করলেন ১০০ থেকে ২০০ টাকা লাভে তাহলে তখন দেখবেন যে পরের
টাকার উপর দিয়েই আপনার মুনাফা অর্জন হয়ে যাবে।তাই আপনারা এই ব্যবসাটি করতে
পারেন।
কাঁচামালের ব্যবসাঃ
সাধারণত কাঁচামালের ব্যবসা করতে চান তাহলে অবশ্যই করতে পারবেন কারণ বিভিন্ন
কোম্পানির মালিকেরা কিন্তু কাঁচামাল গুলো কিনে নিয়ে থাকে পাইকারি দাম।তবে আপনারা
আগে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঁচামাল গুলো সংগ্রহ করে তারপর একসঙ্গে যদি কোম্পানির
কাছে দিতে পারেন তাহলে কিন্তু ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।তাই আপনারা পাইকারি
কাঁচামালের ব্যবসাগুলো করতে পারেন ভালো ইনকাম হবে।
মসলার ব্যবসাঃ
সাধারণত মসলার ব্যবসা করাটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ মসলার যদি আপনারা
অনেকগুলো নিয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু খুব কম দামে পেয়ে যাবেন।সেই গুলো যদি হাটে
বাজারে অল্প অল্প করে মানুষেরা কিনবে তখন কিন্তু সেখান থেকে ভালো পরিমাণে আপনার
লাভ হয়ে যাবে।তাই বসে থেকেই ভালো ইনকাম করতে পারবেন মসলার ব্যবসা করে তাই আপনারা
এটি করতে পারেন।
জুতা ও স্যান্ডেলের ব্যবসাঃ
সাধারণত সবথেকে এই জুতা স্যান্ডেলের ব্যবসা ভলো।কারণ সারাদিনে যদি আপনারা একটি বা
দুইটি জুতা স্যান্ডেল বিক্রি করেন তাহলে সর্বনিম্ন লাভ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বের
হবে।কারণ মানুষের জুতা স্যান্ডেল এতটাই ব্যবহার করে এই কারণে প্রচুর পরিমাণে কিনে
থাকে তাই এগুলোর দামও কিন্তু খুব কম এবং দোকানদাররা বিক্রি করে ভালো দামে।তাই কেউ
বুঝতে পারে না তাই আপনাদের এই ব্যবসাটি করাই ভালো কারণ ভালো লাভ করতে পারবেন।
ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবসাঃ
সাধারণত ইলেকট্রনিকের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে যদি আপনারা ব্যবসা শুরু করেন তাহলেও
কিন্তু ভালো ইনকাম করতে পারবেন কারণ এগুলো কিন্তু প্রচুর পরিমাণে সেল হয়।কারণ
এখনকার দিনে কিন্তু সবার বাড়িতেই বিদ্যুৎ আছে তাই ইলেকট্রনিক বিভিন্ন রকম পণ্য
সবার বাড়িতেই প্রয়োজন।
বেকারি ব্যবসাঃ
সাধারণত বিভিন্ন রকম বেকারী ব্যবসা গুলো করে আপনারা আয় ইনকাম করতে পারেন।তবে
বাড়িতে যদি একটি বেকারি মেশিন বসিয়ে নিতে পারেন তাহলে বাড়িতে বসে থেকে বেকারির
বিভিন্ন রকম পণ্য তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে ভালো ইনকাম করতে
পারবেন।তাই আপনারা এই ব্যবসাটি করতে পারেন ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
গার্মেন্টস সামগ্রী ব্যবসাঃ
সাধারণত গার্মেন্টস সামগ্রী ব্যবসার মতো লাভজনক ব্যবসা আর একটি হয় না।কারণ
আপনারা যদি একটি কাপড় সর্বনিম্ন ২০০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে আসেন তাহলে সেই
কাপড়টি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে পারবেন।তাহলে এক বার হিসেব করে
দেখে কত টাকা লাভ বের হচ্ছে।তাই সারাদিনে যদি আপনারা ৫টি থেকে ১০টি কাপড় বিক্রি
করতে পারেন তাহলে কেমন ইনকাম হবে আপনারা হিসাব করে তারপরেই ব্যবসাটি করতে পারেন।
বিভিন্ন ব্যাগ বিক্রি ব্যবসাঃ
সাধারণত বিভিন্ন ব্যাগ তৈরির কারখানা অথবা ব্যাগ বিক্রির আপনারা ব্যবসা করেন
তাহলে কিন্তু ভালো ইনকাম করতে পারবেন।কারণ সরাসরি আপনারা কোম্পানির কাছে বিভিন্ন
অর্ডার করবেন তারপরে সেইগুলো নিয়ে এসে আপনারা বিভিন্ন মার্কেটে বিভিন্ন দোকানে
সেল করে দেবেন তাহলে তখন দেখবেন যে সেখান থেকে যদি আপনাদের ব্যাগপতি ৫ টাকা থাকে
তাও পচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
সৌখিন সামগ্রী ব্যবসাঃ
সাধারণত সৌখিন সামগ্রী বলতে বোঝায় বাড়ি ঘর সাজানোর বিভিন্ন রকম কাগজপত্র
বিভিন্ন রকম সামগ্রী।তাইতো আপনারা বিভিন্ন রকম সামগ্রীর ব্যবসা করার মাধ্যমে ভালো
আয় ইনকাম করতে পারবেন।কারণ এখনকার দিনে কিন্তু মানুষের প্রচুর পরিমাণে ঘরবাড়ি
সাজিয়ে থাকে তবে ঘরবাড়ি সাজাতে মেয়েরা বেশি একটু এক্সপার্ট হয় বা একটু সাজাতে
ভালোবাসে।
তাই ঘর বাড়ি সাজানোর সামগ্রী গুলো প্রচুর পরিমাণে সেল হবে এবং সেখান থেকে
আপনাদের ভালো ইনকাম হবে তাই আপনারা এই ব্যবসা করতে পারেন।
পেপার হাউস ব্যবসাঃ
সাধারণত নতুন পেপার বা পুরাতন পেপার নিয়ে আপনারা পেপার হাউজ দিয়ে একটি ব্যবসা
করতে পারেন।কারণ নতুন পুরাতন পেপার কিন্তু মানুষের প্রচুর পরিমাণে দরকার।তাইতো
নতুন পুরাতন পেপার গুলো নিয়ে ব্যবসা করলে দেখবেন যে প্রচুর পরিমাণে মানুষ কিনে
নেবে এবং কত পরিমাণে সেল হওয়ার ফলে আপনার ভালো ইনকাম হবে।তাই আপনারা এই পেপার
হাউস এর ব্যবসাটি করতে পারেন ভালো ইনকাম হবে।
বেটসিট ব্যবসাঃ
সাধারণত বিভিন্ন রকম বেটসিট বা ফর্ম এর ব্যবসা করতে পারেন।সাধারণত এখন মানুষ
বেটসিট দিয়ে বিছানা তৈরি করে অথবা বসার বিভিন্ন রকম জায়গা তৈরি করে
থাকে।বেটসিট বিছানায় ব্যবহার করে সবাই ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় বেশি
ব্যবহার করে তাই কারণে মানুষ প্রচুর পরিমাণে এই বেটসিট গুলো কিনে নিয়ে থাকে।তাই
আপনারা যখন ব্যবসা গুলো করবেন তখন দেখবেন যে ভালো পরিমাণে ইনকাম হচ্ছে তাই আপনারা
বেটসিটের ব্যবসাটি করতে পারেন।
নকশী কাঁথার ব্যবসাঃ
সাধারণত আপনারা যদি মনে করেন যে একটি নকশি কাঁথা ছাপাবেন এবং নকশি কাঁথা পুরোপুরি
সেলাই করবেন তাহলে কিন্তু করতে পারে।কারণ একটি ৫&৬ ফিটের নকশি কাঁথা পুরোপুরি
সেলাই করে দিতে পারলে আপনি সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা পাবেন।তাইতো আপনারা বাড়িতে
বসে থেকে যেহেতু ভালো টাকা ইনকাম হচ্ছে তাই আপনারা এই ব্যবসাটি করতে পারেন।
টয়লেট এক্সেসরিজের ব্যবসাঃ
সাধারণত বিভিন্ন রকমের পণ্যগুলো নিয়ে যদি আপনারা ব্যবসা করতে পারেন তাহলে তখন
দেখবেন যে মানুষ প্রচুর পরিমাণে আপনার দোকানে এসে কিনবে।টয়লেটের বিভিন্ন রকম
পণ্য গোসল করার স্থানের বিভিন্ন রকম পণ্যগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আপনারা দোকান তৈরি
করবেন বা ব্যবসা করবেন তখন দেখবেন প্রচুর পরিমাণে মানুষ যাবে এবং সেগুলো কিনবে
তবে আপনাদের যদি ভালো সেল হয় তাহলে কিন্তু ভালো ইনকাম হবে।তাই আপনারা টয়লেটে
এক্সেসরিজের ব্যবসা করতে পারেন ভালো ইনকাম হবে।
উপরে সকল পাইকারি ব্যবসা শুরু করার হিসাব
আপনারা যদি বিভিন্ন রকম ব্যবসাগুলো শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই শুরু করতে
পারবেন।তবে এই ব্যবসা গুলো শুরু করতে হলে এর আবার কিছু দিক নির্দেশনা আছে সেগুলো
অবশ্যই আপনাদের মানতে হবে।তাইতো উপরে সকল পাইকারি ব্যবসা শুরু করার হিসাব
সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।
কারণ অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করতে গেলে কিন্তু একটুও আবার সমস্যার মধ্যেও
পড়তে পারেন।সেই সকল বিষয়ে সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে সাবধান ভালোভাবে
বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনারা শুধু ধৈর্য সহকারে পড়ে দেখে জেনে
নেবেন।তাইতো বিভিন্ন রকম ব্যবসা করতে কি পরিমাণে টাকা খরচ হবে তা নিচে জানিয়ে
দেওয়া হলো:
- ব্যবসার নামঃ মুদি মালামাল বিক্রয় - ব্যবসায়িক খরচঃ এক থেকে দেড় লাখ টাকা।
- ব্যবসার নামঃ কাগজের প্যাকেট তৈরি - ব্যবসায়িক খরচঃ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
- ব্যবসার নামঃ স্টেশনারি পণ্য বিক্রয় - ব্যবসায়িক খরচঃ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
- ব্যবসার নামঃ কসমেটিক্স মালামালের ব্যবসা - ব্যবসায়িক খরচঃ দেড় থেকে তিন লাখ টাকা।
- ব্যবসার নামঃ বাচ্চাদের খেলনা ব্যবসা - ব্যবসায়িক খরচঃ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
- ব্যবসার নামঃ কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা - ব্যবসায়িক খরচঃ ২ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
- ব্যবসার নামঃ ফলের পাইকারি ব্যবসা - ব্যবসায়িক খরচঃ ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
- ব্যবসার নামঃ পাইকারি মধু বিক্রি করা - ব্যবসায়িক খরচঃ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা।
- ব্যবসার নামঃ বেকারির পাইকারি ব্যবসা - ব্যবসায়িক খরচঃ ২ তেকে ৩ লক্ষ টাকা।
- ব্যবসার নামঃ কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা - ব্যবসায়িক খরচঃ ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা।
- ব্যবসার নামঃ ওয়েবসাইট বিক্রির ব্যবসা - ব্যবসায়িক খরচঃ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
- ব্যবসার নামঃ পাইকারি টেলিকমের ব্যবসা - ব্যবসায়িক খরচঃ ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
- ব্যবসার নামঃ ফাস্টফুডের দোকান - ব্যবসায়িক খরচঃ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
- ব্যবসার নামঃ ড্রপ শিপিং করা - ব্যবসায়িক খরচঃ টাকার কোন প্রয়োজন নেই/তবে আবার লাগতে পারে।
- ব্যবসার নামঃ ইলেকট্রনিক্সের পাইকারি ব্যবসা - ব্যবসায়িক খরচঃ ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা।
- ব্যবসার নামঃ অটোমোবাইল যন্ত্রাংশের ব্যবসা - ব্যবসায়িক খরচঃ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
- ব্যবসার নামঃ ফটোগ্রাফি করা - ব্যবসায়িক খরচঃ ১ লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা।
- ব্যবসার নামঃ দর্জির দোকান করা - ব্যবসায়িক খরচঃ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
- ব্যবসার নামঃ টিউশন সেন্টার করা - ব্যবসায়িক খরচঃ কোন টাকার প্রয়োজন নেই/তবে কিছু খরচের জন্য ৫ হাজার টাকা লাগতে পারে।
- ব্যবসার নামঃ ক্রীয়া সামগ্রী ব্যবসা - ব্যবসায়িক খরচঃ ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা প্রয়োজন
পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে বেশি পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হবে।তার কারণ
হচ্ছে উৎপাদনকারীর কাছ থেকে বেশি পরিমাণে পণ্য ক্রয় করতে হয় যার কারণে প্রথম
বেশি পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন হয়।তাইতো পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা
প্রয়োজন তা জানিয়ে দেওয়া হবে।যার কারনে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে হলে সর্বনিম্ন অর্থ হিসাবে ৫০ হাজার
থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়।
সে ক্ষেত্রে আপনি অন্য উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।যেমন, বাকিতে ব্যবসা
শুরু করা।মূলত উৎপাদনকারী যদি আপনার পরিচিত হয় তাহলে তাকে কিছু পরিমাণে অর্থ
প্রদান করে বাকিতে পণ্য ক্রয় করতে পারেন।পরবর্তীতে পণ্যগুলো বিক্রি করার পর আপনি
তার টাকা পরিশোধ করে দিতে পারেন।এতে করে আপনি অল্প পুজিতে ব্যবসা পরিচালনা করতে
পারবেন।
কিন্তু সকালের ক্ষেত্রে এই উপায়টি কাজে লাগেনা।তার কারণ সবার তো পরিচিত থাকে
না।আগের মূলধন ব্যবসা শুরুতে ব্যয় করতেই হয়।তাই আপনার কাছে যদি আমার বলা পরিমাণ
অর্থ থেকে থাকে তাহলে আপনি অনায়েসে উপরে দেখানো ব্যবসা গুলো শুরু করতে
পারেন।চলুন এবার আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
পাইকারি ব্যবসায় সহজে লাভবান হওয়ার উপায়
আমরা অনেকেই জানি যে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।অর্থাৎ আপনি যদি সঠিক উপায়ে
পরিশ্রম করেন তাহলে আপনি তার ফল পাবেন।তাই আপনি যদি পাইকারি ব্যবসায় লাভবান হতে
চান এবং সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।তাইতো
পাইকারি ব্যবসায় সহজে লাভবান হওয়ার উপায় জানেন তাহলে অবশ্যই ইনকাম করতে
পারবেন।
এছাড়াও আপনার ব্যবসার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।সবসময় হিসাব ঠিক রাখবেন এবং
রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।এছাড়াও ব্যবসায় উন্নতি লাভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
হচ্ছে সততা বজায় রাখা।অর্থাৎ আপনি যদি সততা বজায় রাখেন তাহলে একটু দেরিতে হলেও
আপনি সফল হবেন।এছাড়াও আপনাকে অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা পাইকারি মালামাল
বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনি যে মালামাল গুলি বিক্রয়
করছেন সেগুলোর গুণগত মান যেন ঠিক থাকে।
এছাড়াও আপনাকে অন্যান্য পাইকারি বিক্রেতার থেকে কিছু পরিমাণে কম দামে পণ্য
বিক্রয় করতে হবে।এতে করে আপনি অল্প দামে বিক্রি করলেও বেশি পরিমাণে পণ্য বিক্রি
হবে।তাতে করে আপনার লাভ ঠিক একই থাকবে।যেমন, ধরেন আপনি একটি পাইকারি পণ্য ১৫০
টাকায় ক্রয় করেছেন।উক্ত মালের ন্যায্য বাজার মূল্য হচ্ছে ১৯০ টাকা।
কিন্তু অন্যান্য পাইকারি বিক্রেতারা ন্যায্য মূল্যের থেকে বেশি আমি পণ্য বিক্রয়
করে যেমন ২০০ থেকে ২১০ টাকা।আপনি অন্যদের মতো কাজ করবেন না, ব্যবসায়ী সততা বজায়
রেখে আপনি ন্যায্য মূল্য ১৯০ টাকায় বিক্রি করবেন।ওপরের দেখানো নিয়মাবলী মেনে
চললে আশা করি আপনি খুব দ্রুত নিজের ব্যবসা উন্নতি করতে পারবেন এবং লাভবান হবেন।
পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা FAQ
প্রশ্নঃ কোন ব্যবসায় সবচেয়ে লাভজনক?
উত্তরঃ গার্মেন্টস, ইলেকট্রনিক্স, ফার্নিচার ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ পাইকারি ব্যবসায়ীরা কতটা লাভমান?
উত্তরঃ ১৫% থেকে ৩০%।
প্রশ্নঃ পাইকারি ব্যবসা বলতে কি বোঝায়?
উত্তরঃ উৎপাদনকারী থেকে পণ্য ক্রয় করে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করায়
পাইকারি ব্যবসার মূল লক্ষ্য।
প্রশ্নঃ কিভাবে ব্যবসায় বিনিয়োগ করে আয় করা যায়?
উত্তরঃ কোম্পানির শেয়ার কিনে অথবা ঋণ দিয়ে।
প্রশ্নঃ পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ সাধারণত পাইকারি বিক্রেতারা উৎপাদনকারী থেকে পণ্য ক্রয় করে ছোট
ব্যবসায়ীদের কাছে পণ্যগুলো বিক্রি করে। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা বিভিন্ন পাইকারি
বিক্রেতার থেকে পণ্য ক্রয় করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিক্রি করে থাকে। মূলত এটাই
পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতার মধ্যে পার্থক্য।
প্রশ্নঃ পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার সুবিধা?
উত্তরঃ বর্ধিত মুনাফা মার্জিন।
প্রশ্নঃ পাইকারি ব্যবসায় সফল হওয়ার উপায়?
উত্তরঃ মালের গুণগত মান ঠিক রাখা এবং সততার সাথে ও সঠিক দামে পণ্যগুলো বিক্রি
করা।
প্রশ্নঃ পাইকারি ব্যবসা কাকে বলে?
উত্তরঃ উৎপাদনকারীর কাছ থেকে অল্প দামে পণ্য ক্রয় করে বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীর
কাছে পণ্যগুলো বিক্রি করাকে পাইকারি ব্যবসা বলা হয়।
শেষ মন্তব্য | অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি অল্প পুজিতে বিভিন্ন ব্যবসার শুরু করার উপায়
সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।তবে অল্প পুঁজিতে পাইকারি
ব্যবসা করতে গেলে বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।সেই সমস্যা গুলোকে সমাধান
করার চেষ্টা করবেন এবং ধৈর্য ধরে ব্যবসা গুলো করবেন।কারণ আপনারা যে কোন ব্যবসা
করতে গেলে এর আবার কিছু দিক নির্দেশনা আছে।
তবে কোন ব্যবসা করতে গেলে ধৈর্য ধরে ব্যবসা করতে হবে তাহলে পরবর্তীতে ইনকাম করতে
পারবেন।তাইতো যেকোন পাইকারি ব্যবসা বা যেকোন খুরচা ব্যবসা ধৈর্য ধরে করবেন তাহলে
ভালো ফলাফল পাবেন।আর ব্যবসা করার আগে অবশ্যই আমাদের পোস্টটি আপনারা ভালোভাবে পড়ে
দেখে জেনে নেবেন তাহলেই ব্যবসায়ী ধারণা আপনাদের মধ্যে চলে আসবে।
তাই এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের মাঝে
শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট
করুণ।সর্বশেষ সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ার পর আপনার মতামত কমেন্টে জানিয়ে যাবেন
ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url