মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম আপডেট জানুন
সাধারণত মৃত্যু নিবন্ধন হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজ তাইতো মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন
করার নিয়ম আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত আপনারা যদি অনলাইনে
নিজে নিজেই মৃত্যু নিবন্ধন করতে চান তাহলে করতে পারেন খুব সহজেই।তার সাথে জানানো
হবে মৃত্যু নিবন্ধন করতে কি কি লাগে।
সাধারণত মৃত্যু নিবন্ধন করতে কিছু কাগজপত্র লাগবে আবার কিছু প্রয়োজনীয় ঠিকানা
এইগুলো দেওয়ার মাধ্যমে কিন্তু আপনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন তৈরি
করতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম
সাধারণত মৃত্যু নিবন্ধন হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।তাইতো মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন
করার নিয়ম আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।তবে এই মৃত্যু নিবন্ধন করার আবার কিছু
নিয়ম-কানুন আছে সেই হলো আপনাদের অবশ্যই মানতে হবে।সেই নিয়ম-কানুন অনুযায়ী আবার
কিছু কাগজপত্রের দরকার হবে।
সেগুলো দিয়ে যদি আবেদন করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনারা বাড়িতে
বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমেই মৃত্যু নিবন্ধন পেয়ে যাবেন।তাইতো মৃত্যু নিবন্ধন করার
কিছু নিয়ম-নীতি নিচে দেওয়া হলো:
প্রথমে: বাড়িতে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কম্পিউটার অথবা মোবাইল ফোনে
bdris.gov.bd লিখে গুগলে সার্চ করবেন।তারপরে এই ওয়েবসাইটের মধ্যে যেয়ে
দেখবেন যে “মৃত্যু নিবন্ধন” আছে সেখানে ক্লিক করবেন।তারপরে
“নতুন মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন” ক্লিক করবেন।তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক
করবেন।
দ্বিতীয়ত: এবার আপনার সামনে একটি পেজ চলে আসবে সেখানে যে ব্যক্তি
মৃত্যুবরণ করেছে তার স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা।সবকিছু ভালোভাবে দিবেন তবে
যা যা থাকতে পারে তা নিচে দেওয়া হলো:
- মৃতব্যক্তি স্থানীয় ঠিকানা
- মৃত্যুর সময় বসবাসের ঠিকানা
- বিভাগ জেলা থানা গ্রাম ইউনিয়ন
- ভালো করে পূরণ করে দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।
তৃতীয়ত: সবকিছু ভালোভাবেই দিয়ে দেওয়া হয়ে গেলে “সংযোজন” অপশনে
ক্লিক করবেন।দিয়ে মৃত ব্যক্তির ডেট সার্টিফিকেট আপলোড করবেন।তবে যেকোন ব্যক্তি
যদি বাড়িতে মারা যায় তখন তার সংযোজন কোনোভাবেই দরকার হবে না।এবার নিচে আপনার
ফোন নাম্বার দিয়ে দিবেন তাতে ওটিপি কোড যাবে সেই কোডটি দিয়ে সাবমিট করে
দেবেন।
চতুর্থ: তাহলে তখন দেখবেন যে “সাকসেসফুল” ভাবে আবেদনটি সফল হয়ে
যাবে।তখন প্রিন্ট করার অপশন আসবে আপনারা প্রিন্ট করে বের করে নিয়ে তখন আপনারা
যেকোন কার্যক্রম চালাতে পারেন।
মৃত্যু নিবন্ধন করতে কি কি লাগে
সাধারণত মৃত্যু নিবন্ধন করতেও কিন্তু আজকাল অনেক কাগজপত্রের দরকার হয়।কারণ
এখনকার যুগ হচ্ছে অনলাইনের যুগ তাই যদি একটি কাগজও বাদ পড়ে তাহলে কিন্তু
কোনোভাবেই হবে না।তাইতো মৃত্যু নিবন্ধন করতে কি কি লাগে তা আপনাদের খুব ভালোভাবে
জানিয়ে দেওয়া হবে।তাই কি কি প্রয়োজন আবার কি কি ডকুমেন্ট লাগে তা নিচে দেওয়া
হলো:
মৃত ব্যক্তির:
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন
- স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা প্রমাণপত্র
- মৃত্যুর সঠিক তারিখ
আবেদনকারী:
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর
- স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণ পত্র
মৃত্যুর তথ্য প্রদান:
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর
- স্থায়ী ও বর্তমানে ঠিকানার প্রমান পত্র
অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য:
- মৃত ব্যক্তির স্থানীয় ঠিকানা ও মৃত্যুর সময় যেখানে বসবাস করবে তার ঠিকানা।
- সঠিক মৃত্যু হয়েছে কিনা তার যাচাই-বাছাইয়ের প্রমাণপত্র।
যেসব কাজে প্রয়োজন হয় মৃত্যু নিবন্ধন
সাধারণত কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলোতে মৃত ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন প্রয়োজন হয়ে
থাকে।তাইতো যেসব কাজে প্রয়োজন হয় মৃত্যু নিবন্ধন আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে
দেওয়া হবে।তবে আপনারা এই মৃত্যু নিবন্ধন দিয়ে অনেক রকমের কাজ করতে পারবেন।যে
কাজগুলো মৃত্যু নিবন্ধন দিয়ে করা হয়ে থাকে সেইগুলো কিন্তু অন্য কোন কাগজ দিয়ে
করা হবে না।
কারণ মৃত্যু নিবন্ধন হচ্ছে এক প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেটি বিভিন্ন রকম ভাতা
এবং ব্যাংকের বিভিন্ন রকম ভাতা পেতে সাহায্য করে থাকে।তাইতো যেসব কাজে প্রয়োজন
তা নিচে দেওয়া হলো:
- দেশের জনসংখ্যা সঠিক কিনা এই সম্পর্কে জানতে প্রয়োজন হয়।
- লাইফ ইন্সুরেন্স এর অর্থ তোলার সময় মৃত্যু সনদ প্রয়োজন হয়।
- নিজের নামে সম্পত্তি রেকর্ড করতে মৃত্যু নিবন্ধন প্রয়োজন হয়।
- পেনশন এবং অন্যান্য সুবিধা ভোগ করতে মৃত্যু সনদ প্রয়োজন হয়।
- আবার বিভিন্ন ভাতা পাওয়ার জন্য এই মৃত্যু সনদ প্রয়োজন হয়ে থাকে।
- আবার মৃত ব্যক্তির ছেলে-মেয়ের জন্ম নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করতে মৃত্যু সনদ প্রয়োজন হয়।
- দরকারি ওয়ারিশ সনদ পেতেও মৃত্যু সনদ প্রয়োজন হতে পারে।
মৃত্যু সনদ কেন গুরুত্বপূর্ণ
সাধারণত মৃত্যু সনদ হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজ।এই মৃত্যু সনদ একটি ব্যক্তির
মৃত্যু নিশ্চয়তা করে।তবে এই মৃত্যু সনদ বিভিন্ন রকম ভাতা এবং বীমার কাজে লাগতে
পারে।তাইতো মৃত্যু সনদ কেন গুরুত্বপূর্ণ তা আপনাদের ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া
হবে।তবে এই মৃত্যুর সনদ আবার যে ব্যক্তি মারা যাবে তার ছেলে মেয়ের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ কাগজ।এই কারণে এই মৃত্যু সনদের কতটা গুরুত্ব তা নিচে দেওয়া হলো:
- ওয়ারিস হিসেবে সম্পত্তির মালিকানা পাওয়ার জন্য মৃত্যু নিবন্ধন প্রয়োজন।
- মৃত ব্যক্তির যদি ব্যাংক একাউন্ট থাকে তাহলে কিন্তু এই মৃত্যু সনদ প্রয়োজন হবে।
- সরকারি বাজেট নিতে হলে বা প্রণীত হলে মৃত্যু সনদ প্রয়োজন হয়।
- ব্যাংক বিমার বিভিন্ন রকম টাকা এবং ভাতা পেতে মৃত্যু সনদ প্রয়োজন হয়।
- যদি কোন নারী বিধবা ভাতা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তাহলে তার মৃত্যু সনদ প্রয়োজন হয়।
- অন্যান্য আরো সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন রকম কাজে লাগতে পারে এই মৃত্যু সনদ।
মৃত্যু নিবন্ধন তৈরি ফি
সাধারণত আপনি অনলাইনের মাধ্যমে এই কাগজপত্র তৈরি করেন তবে যদি সময়ের মধ্যে তৈরি
করেন তাহলে কিন্তু কোন টাকা দেওয়া লাগবে না।তাছাড়া যদি সময়ের বাইরে যেয়ে করেন
তাহলে কিন্তু টাকা পরিশোধ করতে হবে।মৃত্যু নিবন্ধন তৈরি ফি কত তা আপনাদের জানিয়ে
দেওয়া হবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই করুন খুব সহজেই
কারণ অনলাইনে মাধ্যমে যেকোনো সরকারি কাগজপত্র তৈরি করার ফলে নির্দিষ্ট পরিমাণের
ভ্যাট সহ কিছু টাকা জমা দিতে হয় তাহলেই তখন সেই কাগজপত্র গুলো সরকারি ভাবে
আপনাকে প্রদান করা হবে।তাই কত টাকা প্রয়োজন তা নিচে খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া
হলো:
- যে ব্যক্তি মারা যাবার ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে কোন রকমের টাকা লাগবে না।
- ৪৫ দিন থেকে ৫ বছর এর মধ্যে মৃত্যু সনদ করলে আবেদন ফি ২৫ টাকা।
- ৫ বছরের বেশি হলে আবেদন ৫০ টাকা।
শেষ মন্তব্য | মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম
সাধারণত মৃত্যু সনদ হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজ।তাই যেই ব্যক্তি মারা যাবে তার
মৃত্যু সনদ তৈরি করে নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তবে যেই ব্যক্তি মারা যাবে তার
নামে যদি ব্যাংকে টাকা রাখা থাকে বা জীবন বীমা খোলা থাকে তাহলে কিন্তু খুব দ্রুত
সময়ের মধ্যে মৃত্যু সনদ দিয়ে সেগুলো আপনারা সংগ্রহ করে নেবেন।
তবে তার আগে মৃত সনদ তৈরীর সব রকম নিয়ম-কানুন এই আর্টিকেলের মধ্যে এসে পড়ে দেখে
জেনে তারপর মৃত্যু সনদ তৈরি করে নেবেন।আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো পেয়ে কিছুটা
হলেও উপকৃত হবেন।তাই আর্টিকেলটি পড়ে যদি ভালো লাগে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করবেন।আরো বিভিন্ন রকম টিপস এবং ভালো ভালো তথ্য পেতে ওয়েবসাইটি ফলো করে
রাখুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url