লিভার জন্ডিস হলে কি করনীয় এবং লিভার জন্ডিসের ১০টি লক্ষণ জানুন

সাধারণত লিভার জন্ডিস হচ্ছে খুবই খারাপ রোগ তাইতো লিভার জন্ডিস হলে কি করনীয় তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত সবাইকেই লিভার নিয়ে সতর্কভাবে থাকতে হবে।তার সাথে জানিয়ে দেওয়া হবে লিভার জন্ডিসের লক্ষণ সমূহ।

লিভার-জন্ডিস-হলে-কি-করনীয়

সাধারণত এই লিভার জন্ডিস হচ্ছে খুবই খারাপ একটি রোগ।তবে সর্বপ্রথম মানবদেহে যদি কোনো ভাবেই জন্ডিস আক্রান্ত হয় তাহলে তা ভালো করার চেষ্টা করবেন।নাহলে পরবতীতে আপনাদের লিভার নষ্ট করে দিতে পারে।
পোস্টসূচিপত্রঃ

লিভার জন্ডিস হলে কি করনীয়

সাধারণত একটি মানুষের শরীর যখন জন্ডিস ধরা পড়বে তখন কিন্তু খুবই সাবধান ভাবে থাকতে হবে।তাইতো লিভার জন্ডিস হলে কি করনীয় তা আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।কোনভাবেই কিন্তু একটি মানুষের সর্বপ্রথম লিভারে জন্ডিস হয় না।আগে মানুষ দেহে জন্ডিস হবে তারপর ধীরে ধীরে লিভারে সেই জন্ডিস ধরে নেবে।তারপরে আস্তে আস্তে একটি মানুষের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে।
কারণ মানব দেহে অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আছে তবে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে হচ্ছে লিভার একটি।তাইতো লিভার নিয়ে আপনাদের কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না।সব সময় লিভারের কোন কিছু যদি হয় তাহলে ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে ভালো করতে হবে আবার লিভারকে ভালো রাখবে সুস্থ রাখলে এমন খাবার খেতে হবে।

তাহলে তখন দেখবেন যে পরবর্তীতে আপনাদের শরীরে আর তেমন কোন সমস্যা হবে না সব কিন্তু একেবারেই ভালো হয়ে যাবে।তাইতো নিচে লিভার জন্ডিস হলে কি করবেন তা আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • পানি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
  • ডাবের পানি খাবেন।
  • স্যুপ জাতীয় খাবার খেতে হবে।
  • তাজা ফলমূল খেতে হবে।
  • কাচা শাকসবজি রান্না করে খেতে হবে।
  • লেবুর রস খেতে হবে।
  • অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার কোনভাবেই খাওয়া যাবে না।
  • অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া যাবে না।
  • অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করা যাবে না।
  • পুষ্টিকর ও প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে।
  • যেই খাবারগুলো খেলে লিভারে চাপ কম হবে সেই খাবারগুলো খেতে হবে।
  • আষ জাতীয় খাবার খেতে হবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে এবং বিশ্রাম নিতে হবে।
  • কোনভাবেই অতিরিক্ত পরিশ্রম করা যাবে না।
  • সবসময় পেট হালকা রেখে খাবার খেতে হবে।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা পরিমাণে ব্যায়াম করতে পারেন।
  • আখের গুড়ের শরবত খেতে পারেন।
  • আখের গুড়ের শরবতের সঙ্গে আড়লের পাতার রস করে মিশ্রণ করে খেতে পারেন।
  • সকাল বিকালের হালকা রোদে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত বসে থাকতে পারেন।
  • টমেটো,শসা,গাজর এইগুলোর সালাদ খেতে পারেন।
  • তবে শুধু লিভার নিয়েই নয় শরীরের সব কয়টি অঙ্গ নিয়েই সতর্ক থাকতে হবে এবং সেগুলো মাসে বছরে একবার হলেও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে হবে।

লিভার জন্ডিসের লক্ষণ

সাধারণত লিভার হচ্ছে মানবদেহের প্রধান অঙ্গ কারণ এই লিভার যদি না থাকে তাহলে একটি মানুষ কোন ভাবে বেঁচে থাকতে পারবে না।কারণ একটি মানুষের সারা দিনে যে খাবার পানিগুলো খাই সেই খাবার লিভার কিন্তু সেইগুলো হজম করতে সাহায্য করে।তাইতো লিভার জন্ডিসের লক্ষণ আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।

তবে লিভারের যদি কোন রকমের সমস্যা বা লিভার জন্ডিস হয় তাহলে তখন আপনাদের পেটের মধ্যে সর্বপ্রথম খাবার হজমের সমস্যা প্রচন্ড ভাবে দেখা দেবে।তবে অনেক মানুষ আছে যারা এই লিভার জন্ডিসের লক্ষণ গুলো কোনভাবেই জানে না দিয়ে তাদের শরীরে এক দুইটি লক্ষ্যণ দেখা দিতে দিতে পরবর্তীতে লিভার জন্ডিসের সবগুলো লক্ষ্যণ দেখা দিয়ে তখন তারা মৃত্যুর পরে ঢোলে পড়ে।

তাইতো আমরা সব থেকে ভালো লিভার জন্ডিস সম্পর্কে তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেনৈ।তবে এই লক্ষণ গুলো যদি আপনারা ভালোভাবে জেনে নিতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে আপনাদের যদি হয় বা আপনাদের কারোর ব্যক্তিগত জীবনে হয়ে থাকে।তখন আপনার দ্রুত এই লিভার জন্ডিস নির্বাচন করতে পারবেন দিয়ে তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবেন।তাইতো লিভার জন্ডিসের কিছু লক্ষণ নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • সর্বপ্রথম চোখ হলুদ হয়ে যাবে।
  • ক্ষুধা মন্দা রোগ হতে পারে।
  • খাবারে অরুচি দেখা দেবে।
  • খাবার খেলেও কোনভাবে হজম হবে না ।
  • পায়খানা প্রসাবের সমস্যা লেগে থাকবে।
  • সব সময় বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
  • জ্বর জ্বর অনুভূত হতে পারে।
  • তাছাড়া জ্বরও আসতে পারে।
  • হালকাভাবে বা প্রচন্ডভাবে পেট ব্যথা করতে পারে।
  • সব সময় পেটে চাপ ধরে থাকবে।

লিভার জন্ডিস হলে কি হয়

সাধারণত একটি মানুষের যখন জন্ডিস রোগ হয় তখন কিন্তু সেই রোগটি খুবই ভয়ঙ্কর ভাবে হয়।তাইতো এই জন্ডিস রোগ হচ্ছে মানবদেহের জন্য খুবই খারাপ।তাইতো লিভার জন্ডিস হলে কি হয় তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত লিভার জন্ডিস হলে আপাতত অনেক রকমের সমস্যা হতে পারে।
তাইতো লিভার নিয়ে আপনাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে লিভারে তেমন কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয়।কারণ এই জন্ডিস যদি লিভারে একবারে ধরে নেই তাহলে পরবর্তীতে আপনারা কিন্তু আর কোনভাবেই ভালো করতে পারবেন না।সাধারণত এই মানব দেহের জন্য লিভার জন্ডিস হচ্ছে খুবই খারাপ একটি রোগ।

লিভার-জন্ডিস-হলে-কি-করনীয়

তাইতো অবশ্যই এই লিভার জন্ডিস সম্পর্কে এবং লিভার জন্ডিসের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে সব কিন্তু ভালোভাবে জেনে শুনে রাখা উচিত।কারণ আপনারা যদি কোন কিছুই না জানেন কোন লক্ষণ না জানেন তাহলে পরবর্তীতে আপনাদের হলে বা আপনাদের আত্মীয়-স্বজন কারো হলে তা চিহ্নিত কোনভাবেই করতে পারবেন না।তাইতো লিভার জন্ডিস হলে কি কি হতে পারে তা নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • লিভার জন্ডিস হলে পুরো শরীর হলুদ হয়ে যাবে।
  • কোনভাবেই খাবারের প্রতি রুচি থাকবে না।
  • সব সময় গ্যাস হবে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • লিভারের রক্ত প্রবাহ কমে যাবে।
  • লিভার একেবারে নষ্ট করে ফেলবে।
  • খাবার কোনভাবেই হজম হবে না।
  • সব সময় ঠান্ডা লাগবে।
  • হালকাভাবে শরীরে জ্বর থাকতে পারে সবসময়।
  • আরো যাবতীয় বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে আপনাদের শরীরে।

বিলিরুবিনের মাত্রা কত হলে জন্ডিস হয়

সাধারণত জন্ডিস হওয়ারও কিন্তু একটি মাত্রা থাকে।তাইতো বিলিরুবিনের মাত্রা কত হলে জন্ডিস হয় তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণভাবে অনেক মানুষ আছে যারা জন্ডিসের মাত্রা কতটুক পরিমানে হতে পারে সেই সম্পর্কে জানতে চাই।কিন্তু তারা যেমন ভালো তথ্য কোথাও না পাওয়ার কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়।

তবে বিলিরুবিনের মাত্রা 1.0 mg/dl এর নিচে এবং বিনিরুবিনের মাত্রা 2-3mg/dl এর বেশি হলে জন্ডিস হয়।তাইতো সব সময় আপনাদের লিভারের বিলিরুবিন অর্থাৎ রক্ত পরীক্ষা করে সেইগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখে নেওয়াটা উচিত।কারণ যাদের জন্ডিসের সমস্যা আছে হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে আবার হঠাৎ করেও কমে যেতে পারে।

সেই সব দিকগুলো অবশ্যই আপনাদের দেখেশুনে বিবেচনা করে যদি আপনাদের জন্ডিস হয়।তাহলে আমাদের আর্টিকেলে দেখানো নিয়ম অনুযায়ী খাবার গুলো খাবেন বিভিন্ন রকম কাজ দেওয়া আছে সেগুলো করবেন তাহলে কিছুটা হলেও সুস্থ হতে পারেন।কোনভাবে জন্ডিস হয় নি বা হওয়ার সম্ভাবনা নাই তারাও কিন্তু এই সব কাজ করতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে আপনাদের কোন সমস্যা হবে না জন্ডিস হবে না।

আপনাদের শরীরে যদি কোন ভাবেই জন্ডিস হবে না তাহলে আপনাদের লিভার সুরক্ষিত থাকবে আপনারা সুস্থ সফলভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন।

লিভার জন্ডিস হলে কি মানুষ মারা যায়

সাধারণত মানব দেহের এই জন্ডিস হচ্ছে খুবই খারাপ একটি রোগ।কারণ এই জন্ডিস রোগ হয়ে অনেক মানুষ মারা যাওয়ার পুরো রেকর্ড আছে।তাইতো লিভার জন্ডিস হলে কি মানুষ মারা যায় তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।লিভার জন্ডিস হলে মানুষ মারা যায়।তবে যদি সঠিক সময় লিভার জন্ডিস চিহ্নিত করতে পারেন ভালো চিকিৎসা ভালো যত্ন করা হয় সেই রোগীকে তাহলে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে।

জন্ডিস একবার হবে সেই মানুষ কিন্তু বেঁচে থাকবে কিন্তু তা পরবর্তীতে আস্তে আস্তে এসে এক সময় মারা যাবে।মানবদেহে অনেকগুলোই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আছে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে হচ্ছে লিভার একটি।তাইতো অবশ্যই আপনাদের এক বছর পর পর এই লিভার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা দরকার যাতে এই লিভারের কোন সমস্যা না হয় লিভার জন্ডিসের সমস্যা সৃষ্টি না হতে পারে সেই সম্পর্কে।
লিভার ছাড়া কিন্তু একজন মানুষ কোনভাবেই বেঁচে থাকতে পারবে না।কারণ মানবদেহের যত রকমের খাবার পানি সব কিন্তু এই লিভার হজম করে মল মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়।তাইতো একটি মানুষের যখন লিভার অকেজো হয়ে যাবে জন্ডিস সৃষ্টি হবে তখন কিন্তু একটি মানুষ মারা যেতে পারে।

লিভার জন্ডিস কেন হয়

সাধারণত জন্ডিস হচ্ছে খুবই খারাপ একটি রোগ।তবে প্রথমেই কিন্তু লিভার জন্ডিস কোনভাবেই ধরে না।সর্বপ্রথম আগে আপনাদের শরীরে জন্ডিস হবে তারপর আস্তে আস্তে যখন আপনারা চিকিৎসা করবেন না তখন কিন্তু আস্তে আস্তে লিভারে জন্ডিস ধরে নিবে।তাইতো লিভার জন্ডিস কেন হয় তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সাধারণত বিভিন্ন রকম কারণে লিভার জন্ডিস বা লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।সাধারণত এই লিভারের সমস্যা হওয়া লিভার জন্ডিস হওয়া কিন্তু খুবই খারাপ তাইতো আপনাদের নির্বাচন করে চিকিৎসা করতে হবে।তবে অনেক মানুষ আছে যারা লিভারের জন্ডিস কিভাবে হয় কেন হয় এবং লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করে থাকে।

সবগুলোর উত্তরই কিন্তু আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।আপনারা শুধু ধৈর্য সহকারে সব কিছু পড়ে দেখে জেনে নেবেন।তবে লিভারে কি কারণে জন্ডিস হতে পারে তা নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • জন্ডিস হচ্ছে একটি পানি বাহিত রোগ।
  • দূষিত পানি দীর্ঘদিন যাবৎ পান করার কারণে জন্ডিস হতে পারে।
  • অতিরিক্ত অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করার কারণে হতে পারে।
  • দীর্ঘদিন ছায়াযুক্ত স্থানে বসবাস করার কারণে হতে পারে।
  • যে ব্যক্তির জন্ডিস আছে সেই ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে আপনার শরীরেও জন্ডিস পার হতে পারে।
  • হেপাটাইটিস এ,বি,সি,ডি,ই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে লিভার জন্ডিস হয়।

লিভার জন্ডিস হলে কি খেতে হয়

সাধারণত লিভারের কোন সমস্যা দেখা দিলে যেসব খাবারগুলো আপনারা খাবেন সেই সব খাবার অবশ্যই পাতলা খাবার হতে হবে।তাইতো লিভার জন্ডিস হলে কি খেতে হয় তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।তবে আপনারা সেই খাবারগুলো সম্পর্কে যদি কোনভাবে না জানেন বা সেই খাবারগুলো সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকে তাহলে আপনারা কিন্তু কোনভাবেই জানতে পারবেন না।
তাইতো অবশ্যই আপনাদের সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জানাটা উচিত।কারণ মানব দেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে লিভার তাই লিভার যদি একবার নষ্ট হয়ে যায় বা লিভারে যদি কোন ভাবে একবার জন্ডিস ধরে নেই তাহলে কিন্তু আপনাদের কোন ভাবেই ভালো করতে পারবেন না।তাইতো সর্বপ্রথম আপনারা লিভার আগে পরীক্ষা করে নেবেন যদি জন্ডিস হয় তাহলে নিয়মিত আমাদের আর্টিকেলে দেখানো খাবারগুলো খাবেন।

লিভার-জন্ডিস-হলে-কি-খেতে-হয়

আবার যাদের কোনভাবেই হয় নি তারাও এই খাবারগুলো খেতে পারেন ভালো উপকার পাবেন পরবর্তীতে লিভার সুস্থ থাকবে লিভার জন্ডিস হবে না।তাইতো নিচে লিভার জন্ডিস হলে কোন খাবার গুলো খাবেন তা জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • আপেল
  • কলা
  • আঙ্গুর
  • পেঁপে
  • গাজর
  • বিট
  • শাক
  • লাউ
  • কুমড়া
  • প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন জাতীয় খাবার।
  • প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার।
  • ডিমের সাদা অংশ।
  • যেকোনো মাছ এবং চর্বি জাতীয় মাছ।
  • বাদমি চাল
  • ওটস
  • মুগ ডাল
এবারে যেসব খাবারগুলো লিভারের ক্ষতি করবে বা আপনার শরীরের ক্ষতি হবে সেই খাবারগুলো নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার।
  • অতিরিক্ত মাসালাদার খাবার।
  • অ্যালকোহল ও নেশা জাতীয় দ্রব্য।
  • অতিরিক্ত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার।
  • অতিরিক্ত ভারী খাবার।
  • যে খাবার গুলো খেলে গ্যাস হবে সেই খাবার।

লিভার জন্ডিস কি ভালো হয়

সাধারণত জন্ডিস হচ্ছে খুবই খারাপ একটি রোগ।যেই মানুষের একবার এই রোগ হয়ে যায় তা কিন্তু ভালো হয় না এবং ভালো হতে অনেক সময় লাগে।তাইতো লিভার জন্ডিস কি ভালো হয় তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।হ্যাঁ, অবশ্যই লিভার জন্ডিস ভালো হয়।তবে সঠিক সময়ে নির্ণয় করা গেলে সঠিক চিকিৎসা এবং ভালো যত্ন পেলে ভালো হয়ে যায়।

তাইতো অবশ্যই আপনাদের এই লিভার বছরে একবারও হলেও ভালোভাবে চেকআপ করে নেওয়া উচিত তাহলে পরবর্তীতে আপনাদের আর তেমন কোনো সমস্যা হবে না।কারণ অনেক মানুষ আছে যারা চেকআপ করায় না আবার লিভার জন্ডিসের কোন লক্ষণ গুলোও জারন না দিয়ে তাদের আর ভালো হয় না তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

তবে এই লিভার জন্ডিস সম্পর্কে সব রকমের তথ্য আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনারা ধৈর্য সহকারে পড়ে দেখে জেনে নেবেন।

লিভার জন্ডিস হলে কি হতে পারে

সাধারণত জন্ডিস বা লিভার জন্ডিস মানব দেহের জন্য খুবই খারাপ।তাইতো লিভার জন্ডিস হলে কি হতে পারে তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত কোন মানুষের শরীরে যদি একবার লিভার জন্ডিস হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে আর কোনোভাবেই ভালো হয় না।কারণ অনেক মানুষ আছে যারা এই রিভার জন্ডিসের লক্ষণ গুলো কোনভাবেই জানে না বা চিহ্নিত করতে পারে না দিয়ে তাদের লিভারে শেষ করে ফেলে।
তবে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনারা ভালোভাবে ধৈর্য সহকারে পড়ে দেখে জেনে নেবেন কারণ লিভার লন্ডিস সম্পর্কে সব রকমের তথ্য ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।সাধারণত লিভারে যদি জন্ডিস হয়ে যায় তাহলে আপনারা সর্বপ্রথম চিহ্নিত করবেন তারপরে আমাদের নির্দেশনা দেখানো অনুযায়ী খাবার গুলো খাবেন তাহলে কিছুটা হলেও ভালো থাকতে পারেন।লিভার জন্ডিস হলে মানবদেহে কি কি হয় তা নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো:
  • সর্বপ্রথম চোখ এবং পুরো শরীর হলুদ হয়ে যাবে।
  • প্রস্রাব প্রচন্ড পরিমাণে হলুদ হবে।
  • খাবার গন্ধ লাগবে।
  • খাবার খেলে হজম হবে না।
  • সময় বমি বমি ভাব গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেবে।
  • আরো বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেবে আপনাদের শরীরে আপনারা তখন এমনিতেই বুঝতে পারবেন।

লিভার জন্ডিস সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা FAQ

প্রশ্নঃ লিভার জন্ডিস হলে কি মানুষ মারা যায়?
উত্তরঃ সঠিক চিকিৎসা এবং ভালো পরিচর্যা না করলে মানুষ মারা যাবে।

প্রশ্নঃ  লিভার জন্ডিস হলে মানব শরীরে কেমন হবে?
উত্তরঃ লিভার জন্ডিস হলে মানব শরীরে তেমন কোন পরিবর্তন হবে না তবে খাবার হজম হতে প্রচন্ড পরিমাণে সমস্যা হবে।

প্রশ্নঃ নবজাতকের বিলিরুবিনের মাত্রা কত?
উত্তরঃ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ১.২ মিলিগ্রাম এবং এক বছরের কম বয়সীদের জন্য ১.৮ মিলিগ্রাম।তবে বিলিরুবিনের মাত্রা ০.৩ মিলিগ্রাম থাকা স্বাভাবিক।

শেষ মন্তব্য | লিভার জন্ডিস হলে কি করনীয়

সাধারণত একজন মানুষের যদি কোন ভাবে জন্ডিসের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যায়।তাহলে কিন্তু সেই মানুষটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে।তাইতো অবশ্যই আপনাদের কোনোভাবে এই জন্ডিসের সমস্যা হলে তা দ্রুত নির্বাচন করে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।তাছাড়া কিন্তু আপনারা কোন ভাবে খাবার খেয়ে বা জীবন যাপন করে সুখ শান্তি পাবেন না।

কারণ মানব দেহের প্রতিটা অঙ্গই কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ তবে তার মধ্যে হচ্ছে লিভার একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।এই লিভারে তেমন কোন সমস্যা দেখা দিলে তা দ্রুত আপনারা চিকিৎসা করে ভালো করবেন।তাই আর্টিকেলের মধ্যে লিভার জন্ডিস ভালো করার সব থেকে ভালো করার নিয়ম-কানুন টিপস জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনারা শুধু ধৈর্য সহকারে পড়ে দেখে জেনে নেবেন।

আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো পেয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।তাই আর্কিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।আরো বিভিন্ন রকম তথ্য এবং ভালো ভালো টিপস পেতে ওয়েবসাইটি ফলো করুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url