প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন সম্পর্কে সকল তথ্য জানুন
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটিতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনারা যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃপ্রতিবছরই আমাদের বাংলাদেশ থেকে প্রায় অনেক পরিমাণ ব্যাক্তি প্রবাস জীবণ গ্রহণ করে থাকে। আবার এই স্বপ্ন অনেকেই টাকার অভাবে পূরণ করতে পারেন না। তাই এখন এই অসুবিধার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আপনি অনলাইনের মাধ্যমেই প্রবাসে যাওয়ার জন্য অবেদন করতে পারবেন।
ভূমিকা
বাংলাদেশে প্রবাসের ব্যাক্তিদের লোন প্রদান করার জন্য সবথেকে জনপ্রিয় ব্যাং প্রতিষ্ঠানটি হলো প্রবাস কল্যাণ ব্যাংক। এই ব্যাংকটি খুবই সহজ শর্তে লোন প্রদান করে থাকে। তারা এই ক্ষেত্রে তাদের গ্রাহকদের সকল কথা বিবেচনা করে কম সুদে লোন প্রদান করে। আর এই ব্যাংকের লোনের জন্য আপনি ঘরে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমেই আবেদন করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ
আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে, কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪ সহ আরো অনেক কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেন চলুন বেশি দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন
আপনার যদি প্রবাস জীবন গ্রহণ করতে টাকা পয়সার সমস্যা হয় তাহলে আপনি ব্যাংকে আবেদন করে সেই টাকার যোগান দিতে পারবেন খুব সহজেই। আর এই সুবিধাটি প্রদান করে থেকে থাকে কিছু ব্যাংক। আর তার জন্য আপনি আবেদন ঘরে বসে থেকেই করতে পারবেন। এখন কিভাবে আবেদন করবেন সেটা বলছি এখন।
প্রবাসি কল্যাণ ব্যাংকের লোনের জন্য অনলাইনের আবেদনের তেমন কোন নির্ধারিত পদ্ধতি নেই। তবে আপনার জেলায় অথবা আপনি যেখানে অবস্থান করছেন সেখানে প্রবাস কল্যাণ ব্যাংকের অফিস থেকে থাকতে পারে। সেটি আপনাকে একটু খোঁজাখুঁজি করে বের করে নিতে হবে।
তারপরে আপনি অনলাইন থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে যথাযথ তথ্য পূরণ করে তাদের জমা দিতে পারেন। অথবা আপনি তাদের অফিস থেকে প্রয়োজনীয় ফর্ম নিয়ে সরাসরি তাদেরকে জমা দিতে পারেন। আপনি সেখানে গেলে একটি বড় সুবিধা হবে কি আপনার সরাসরি বক্তব্য দিতে পারবেন। এবং আপনার ফর্ম পূরণ করতে যদি কোন অসুবিধা হয় তাহলে তাদের থেকে ফর্ম পূরণ করতে সুবিধা নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ কুয়েত ভিসার দাম ও কুয়েত ফ্রি ভিসার দাম
এই ফর্ম নেওয়া হয়ে গেলে আপনাকে নিজের ভাব গুলো অনুসরণ করতে হবে। তাই আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করতে নিম্নলিখিত ধাপ গুলো অনুসরণ করে নিতে পারেন। তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক আপনাকে কোন কোন ধাপ অনুসরণ করতে হবে।
ধাপ-০১ আবেদন ফরম প্রদানঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের জন্য আপনাকে আপনি তাদের ব্যাংকে অথবা তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার সকল তথ্য প্রদান পূর্বক সেই ফর্ম যথাযথভাবে পূরণ করে তাদেরকে সঠিকভাবে ফরম প্রদান করতে পারেন। এখানে আপনার সাধারণত যে সকল তথ্য প্রয়োজন হতে পারে সেগুলো হল
- আপনার ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য
- আপনার বৈধ পাসপোর্টের কপি
- একটি ভিসার প্রমাণপত্র
- ভোটার আইডি কার্ডে কপি
ধাপ-০২ প্রমাণপত্র সংগ্রহঃ এই ধাপে আপনার কাছে থেকে আপনার জন্য কিছু প্রমাণপত্র চাইতে পারে। সেগুলো আপনাকে সকল প্রমাণপত্র সংগ্রহ করে তাদের কাছে জমা দিতে হবে। আপনার কছে থেকে যেই সকল প্রমাণপত্রগুলি চাইতে পারে সেগুলো হলো
- পেমেন্ট স্লিপ
- আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ট্যাক্স রিটার্ন সার্টিফিকেট
- ব্যক্তিগত আয়ের প্রমাণপত্র
- আপনার পূর্ববর্তী লোনের প্রমাণপত্র
এই সকল তথ্য ছাড়াও আরো কিছু তথ্য আপনার কাছে থেকে চাইতে পারে। আপনাকে সেই সকল তথ্যের প্রমাণপত্র সংগ্রহ করে তাদেরকে হসতান্তর করতে হবে।
ধাপ-০৩ লোনের প্রকার এবং পরিমাণঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন প্রকার লোন প্রদান করে থাকে। যেমন ব্যক্তিগত ঋণ, বাসা ঋণ, ব্যবসা ঋণ, শিক্ষা ঋণ ইত্যাদি। এখান থেকে আপনাকে যেকোন একটি ঋণের কথা উল্লেখ করতে হবে। আর তার সাথে এটাও উল্লেখ করতে হবে আপনি কত টাকা ঋণ নিতে চান।
ধাপ-০৪ আবেদন জমা দানঃ উপরে উল্লিখিত সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে গেলে এখন আপনার সর্বশেষ কাজ হবে সেই আবেদন পত্রটি জমা দেওয়া। এই আবেদন জমা দেওয়া হয়ে গেলে আপনাকে একটি আবেদন নম্বর দেওয়া হবে। পরবর্তিতে আপনি সেই আবেদন নম্বর দিয়ে আপনার আবেদনের অবস্থা জানতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে
প্রায় সকল বিভাগেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা রয়েছে। আপনি সেখান থেকে আপনি প্রয়োজনীয় আপনার আবেদন করতে পারবেন। এখন তো তাহলে আমাদেরকে জানতে হবে কোন বিভাবে কোথায় কোথায় শাখা রয়েছে সেই সম্পর্কে। এখন আমরা সকলেই এই বিষয়ে জানতে চলেছি চলুন তাহলে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সকল শাখাসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, প্রধান শাখা
ঠিকানাঃ ৭১-৭২, ইস্কাটন গার্ডেন রোড, ঢাকা-১০০০
ফোন নাম্বারঃ +৮৮-০২-৮৩২১৮৭৮
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭০০
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, ফরিদপুর শাখা
ঠিকানাঃ দিলু প্লাজা (৩য় তলা), হোল্ডিং নং-১৫৩, ইঞ্জিনিয়ার খন্ডকার মোশারফ হোসেন কলেজ রোড, রঘুনন্দনপুর, ফরিদপুর।
ফোন নাম্বারঃ +৮৮-০৬৩১-৬৫২৫৫
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭০৩
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, মানিকগঞ্জ শাখা
ঠিকানাঃ বিসমিল্লাহ টাওয়ার, হোল্ডিং-৭৯, শহীদ রফিক সড়ক, ওয়ার্ড নং-০৬, মানিকগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ।
ফোন নাম্বারঃ +৮৮-০২-৭৭১০৭৬৭
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭০৬
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, মাদারীপুর শাখা
ঠিকানাঃ লস্কর ভবন, হোল্ডিং নং-৩১৬, প্রধান সড়ক, মাদারীপুর
ফোন নাম্বারঃ
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭০৯
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, মির্জাপুর শাখা
ঠিকানাঃ চায়না টাওয়ার, হোল্ডিং-৩৩৬/৬, ওয়ার্ড-৩, মির্জাপুর বাইপাস, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল।
ফোন নাম্বারঃ
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭১২
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, গাজীপুর শাখা
ঠিকানাঃ জমিলা সুপার মার্কেট, হোল্ডিং-১৬৮/১, রোড-১, বিলাশপুর রোড, গাজীপুর সদর, গাজীপুর।
ফোন নাম্বারঃ +৮৮-০২-৪৯২৬৩৮৮৬
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭১৫
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কুমিল্লা শাখা
ঠিকানাঃ হাশেম ম্যানশন, হোল্ডিং- ২২/২৪, ওয়ার্ড-১২ চকবাজার রোড, কুমিল্লা
ফোন নাম্বারঃ +৮৮-০৮১-৭৩৪১০
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০৭০২৭১৮
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কক্সবাজার শাখা
ঠিকানাঃ দক্ষিণ কহেলী,ফ্ল্যাট নং-১/এ(নীচ তলা),পাহাড়তলী রোড কক্সবাজার
ফোন নাম্বারঃ +৮৮-০৩৪১-৬২০৩৬
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭২১
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, হাট হাজারী শাখা
ঠিকানাঃ জে অ্যান্ড জি শপিং কমপ্লেক্স, হোল্ডিং- ১০০৮, রামগড় রোড, ওয়ার্ড-২, হাটহাজারী, চট্রগ্রাম
ফোন নাম্বারঃ +০৩১-২৬০১৫০৪
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭২৪
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, রাউজান শাখা
ঠিকানাঃরাজমহল ভবন, শাহ আব্দুল লতিফ রোড, ওয়ার্ড-০৮ থানাঃ রাউজান, চট্টগ্রাম।
ফোন নাম্বারঃ
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭২৭
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, সুনামগঞ্জ শাখা
ঠিকানাঃ হোল্ডিং নং-০৬, দোজা শপিং সেন্টার, ট্রাফিক পয়েন্ট, সুনামগঞ্জ।
ফোন নাম্বারঃ
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭৩০
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা
ঠিকানাঃ কাওসার ভিলা, হোল্ডিং ৫২৬/৫২৭, সোনা মসজিদ রোড, ওয়ার্ড নং- ১৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ।
ফোন নাম্বারঃ +৮৮-০৭৮১-৫৩৩৮২
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭৩৩
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, বগুড়া শাখা
ঠিকানাঃ হোল্ডিং নং-১৬২২, শহীদ তারেক রোড, ওয়ার্ড নং-০৩, নামাজগড়, বগুড়া সদর, বগুড়া ।
ফোন নাম্বারঃ +৮৮-০৫১-৬২২৫৮
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭৩৪
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, নওগাঁ শাখা
ঠিকানাঃ আনোয়ার ভবন, হোল্ডিং নং-৩১৯৭/২ (৩য় তলা), মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান সড়ক, ওয়ার্ড নং-৩, থানা:- নওগাঁ সদর, জেলা:- নওগাঁ ।
ফোন নাম্বারঃ +৮৮-০৭৪১-৬১০৬২
মোবাইল নাম্বারঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭৩৫
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে
প্রবাসী কল্যাণ বাংক লোন নেওয়ার জন্য তাদেরকে কিছু ডকুমেন্টস জমা দিতে হয়। সেই সকল ডকুমেন্ট তাদের পরিক্ষা নিরিক্ষা করার পরে তাদের যদি মনে হয় আপনি লোন পাওয়ার যোগ্য তাহলেই আপনাকে লোন প্রদান করা হবে। তাহলে চলুন এখন জেনে নেই এই লোন নিতে হলে কি কি প্রয়োজন হবে।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট
- বিদেশে যাওয়ার জন্য একটি বৈধ ভিসা। আর এটা না থাকলে আপনাকে লোন প্রদান করা হবে না।
- কোম্পানির কাজের জন্য নিয়োগপত্র
- বিদেশে যাওয়ার জন্য লোনের আবেদনকৃত ব্যাক্তির ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত কপি।
- লোনের জন্য আবেদনকৃত ব্যাক্তির একটি বৈধ নাগরিকত্বের সনদপত্র।
- ম্যান পাওয়ার স্মার্ট কার্ডের একটি ফটোকপি।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি একটি।
- আপনি লোন পরিশোধ করতে ব্যার্থ্য হলে আপনার লোন পরিশোধ করতে পারবে এমন দুইজন জামিনদারের প্রয়োজন হবে।
একজন ব্যাক্তির জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য এই সকল ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে। অন্যথায় আপনি লোন পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এই সকল ডকুমেন্টের সকল কিছুই আপনার থাকতে হবে।
কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়
বাংলাদেশে প্রায় অনেক ব্যাংক রয়েছে যারা প্রাবাসে যাওয়ার জন্য লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে। এখন প্রায় সকল সরকারি ব্যাংকগুলোই এই লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে। তবে সকল ব্যাংকের থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সকল ব্যাংকের থেকে অনেক এগিয়ে। যেসকল ব্যাংক প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে সেগুলো ব্যাংকের নামগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।
- প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- অগ্রণী ব্যাংক
- পূবালী ব্যাংক
- এনআরবি ব্যাংক
এই পাঁচটি ব্যাংকই প্রবাসী ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম। আর এই কার্যক্রম প্রথম গঠন করা হয় সকল প্রবাসীদের ঋণ প্রদান করার উদ্দেশ্যে। এনআরবি ব্যাংক আগে এই ঋণ সুবিধাটি প্রদান করতো না। কিন্তু বর্তমানে এসে তারাও এই সুবিধাটি প্রদান করছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়
আমরা তো সকলেই প্রবাসে কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। এখন আমাদের সকলকে জানা উচিত এ প্রবাসে ব্যাংক কত টাকা লোন দিয়ে থাকে। এই পর্যায়ে আমরা উক্ত এই বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চলেছি। চলুন জেনে নেই তাহলে সেই সম্পর্কে।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তাদের প্রবাসী ভাই দের সহযোগিতার জন্য সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে। তবে এর ক্ষেত্রে কিছু লোনের প্রকারভেদ রয়েছে। সেগুলো নিম্নে বলা হলো।
- অভিবাসন লোন দুই বছর মেয়াদে সর্বনিম্ন এক লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হয়।
- বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন সম্ভবত দশ বছর মেয়াদে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করে থাকে।
- পুনর্বাসন লোন ১০ বছর মেয়াদে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রদান করে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
প্রবাসী ব্যাংকের লোন সুবিধা সকল প্রবাসী বাঙালি ভাইদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সুযোগ। এতে তাদের প্রবাসে যাওয়ার জন্য সকল খরচ এর চিন্তা করতে হয় না। তাদের বাংলাদেশের প্রীতিময় স্মৃতির সাথে বাধ্যতামূলকভাবে প্রয়োজনের স্বার্থে বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে থাকে।
প্রবাসী ব্যাংক লোন এর কিছু প্রধান সুবিধা গুলোর নিচে বর্ণনা করা হলো।
মুদ্রা ঋণঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসের ব্যাক্তিদের মুদ্রার ঋণ সুবিধা প্র্যে থাকেন। যেটা একটি প্রবাসী ব্যাক্তির জন্য অনেক আর্থিক সাপোর্ট প্রদান করে থাকে। যার ফলে তাদের সকল হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে সুবিধা হয়।
কর্মসংস্থান লোনঃ এই লোনের মাধ্যমে এই সকল ব্যাংকে উদ্যোগি হওয়ার জন্য সহায়তা করে থাকে। তাদের এই লোনের থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে তারা তাদের একটি ব্যাবসা দার করাতে পারেন ফলে তাদের অর্থের মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল ব্যাবসা গড়ে তুলতে পারেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরণের ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। আর এই ঋণ সুবিধা পাওয়ার জন্য একেক ক্ষেত্রে একেক ধরণের ডকুমেন্টস প্রদান করা হয়ে থাকে। ঋণ প্রাপ্তির জন্য কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে সেই সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি। আপনি সেই বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে উপরে থেকে সেই সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
এখন আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর লোনের জন্য আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানবো। আমরা এই আবেদন করার বিষয়টিকে ৫ টি ধাপে ভাগ করেছি। যাতে করে আপনাদের বুঝতে অনেক সুবিধা হয়।
ধা-০১ ভিসা সংগ্রহঃ আপনার এই ক্ষেত্রে সবার প্রথমে যেটি প্রয়োজন হবে সেটি হলো আপনার কাজের ভিসা বা অনুমতি পত্র। তবে সেটি হতে হবে অবশ্যই বৈধ। কোন অবৈধ ভিসা এখানে গ্রহণ যোগ্য হবে না।
ধাপ-০২ ঋণ প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ এই ধাপে আপনাকে ঋণ প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হবে। যেমন
- ভিসার/অনুমতিপত্রের ফটোকপি।
- সদ্য তোলা চার কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
- পাসপোর্টে একটি ফটোকপি।
- একটি বৈধ নাগরিকত্বের সনদপত্র।
- একটি স্মার্ট কার্ড বিএমএটি কর্তৃক প্রদত্ত।
- সুস্বাস্থের জন্য স্বাস্থ্য পরিক্ষার ফটোকপি।
ধাপ-০৩ ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগঃ এই পর্যায়ে এসে আপনাকে যেই সকল ব্যাংক এই লোন প্রদান করে থাকে তাদের ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে গিয়ে আপনাকে উপরে বলা উল্লিখিত সকল কাগজপত্রগুলি নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তারপর তাদের জানালে আপনাকে কি কি কাজ আর করতে হবে সেই সম্পর্কে জানিয়ে দিবে।
ধাপ-০৪ জামিনদারঃ আপনাকে ঋণ নিতে হলে দুইজন জামিনদারের প্রয়োজন হবে। তাদের জন্য যেসকল কাগজপত্রে প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো
- জামিন দারের দুই কপি করে পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
- তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে ফটোকপি।
- তাদের নাগরিকত্বের সনদ।
- তাদের যেকোন ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের হিস্টোরি।
এই সকল তথ্য দেওয়ার পরেও সবথেকে জরুরি বিষয় হলো সে যে আপনার জামিনদার সেটা তাকে মুখে স্বকৃতি প্রদান করতে হবে। আর যদি সে স্বীকৃতি না দেয় তাহলে আপনি ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
ধাপ-০৫ লোনের কাজ সম্পন্ন করণঃ এই পর্যায়ে আপনাকে ব্যাংকের সকল ডকুমেন্টস পূরণ করে দিয়ে ঋণের জন্য আবেদন করতে হবে। তারপরে আপনাকে একটি আবেদন ফর্ম দিবে। তার জন্য ১৩০ টা চার্জ করবে। তারপরে সেখানের সকল তথ্য পূরণ করে সেই ফর্ম জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন
এর পর তার আপনার ঋণে প্রপ্তির জন্য সকল তথ্য চেক করবে। তারপরে যদি তারা ভেবে দেখে যে আপনি ঋণ পাওয়ার যোগ্য তাহলেই আপনাকে ঋণ প্রদান করা হবে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ বিষয় টি ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার কত
আমরা সকলেই ইতিপূর্বে জানতে পারলাম প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সকল সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে। এখন আমাদের মনে সকলেরই একটি প্রশ্ন জেগে থাকে, আমরা যে লোনটি নিবো তার জন্য আমাদেরকে কত টাকা হারে সুদ প্রদান করতে হবে। এই বিষয়ে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। আশ করছি সকল বিষয় সম্পর্জে জানতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ঋণের সুদের হার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের সুদের হার মূল ঋণের পরিমাণ এবং পরিশোধের সময়কালের উপর নির্ভর করে। তবে অনেক সময়ে এই সুদের হার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি লটারি খেলে টাকা ইনকাম
সাধারণ একটি প্রবাসী কল্যাণ ঋণের জন্য সুদের হার ১৫% ধার্য করা হয়ে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এমনও দেখা গিয়েছে সকল সুদের হার তার মাসিক বেতনের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তবেই এই পদ্ধতি ব্যাংকের নীতিমালা ও তাদের সকল বিধির নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তন করা হয়ে থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সুদের হার কত?
উত্তরঃ সাধারণত ১৫% হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১২% ও হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন সময়ে তাদের নীতিমালা পরিবর্তনের জন্য তাদের সুদের হার পরিবর্তন হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ প্রবাসী ব্যাংক কি সরকারী?
উত্তরঃ হ্যা প্রবাসী ব্যাংক সরকারী একটি প্রতিষ্ঠান।
প্রশ্নঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত সালে গঠিত হয়?
উত্তরঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ২০১০ সালে গঠিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালের ২০ শে এপ্রিল ঢাকায় কলম্বো প্রসেসের চতুর্থ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শুভ উদ্বোধন করেন।
প্রশ্নঃ প্রবাসবন্ধু কল সেন্টার নাম্বার কত?
উত্তরঃ প্রবাসী ভাইদের কল্যাণে প্রবাসবন্ধু হটলাইন এর নাম্বার হল 16135
প্রশ্নঃ এক লক্ষ টাকার সুদ কত?
উত্তরঃ এক লক্ষ টাকার ব্যাংক লোনের জন্য সুদ ধার্য করা হয় ১০% থেকে ১৪% হারে।
মন্তব্য
আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। এই রকম তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রীতে পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ। রাকিব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url