সহজেই জেনে নিন লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যার শরীরে কোন ধরনের অসুখ নেই।এক কথায় প্রত্যেকটা মানুষই বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগছেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের লিভারের হজম শক্তি কমে গেছে। কিন্তু লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে সেই বিষয়ে আপনি বিভিন্ন তথ্য খুঁজে বেড়ান কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পান না। তাহলে এই সম্পূর্ণ পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।
সূচিপত্রঃতাই আপনি যদি জানতে চান একজন মানুষের হজম শক্তি যদি কমে যায় তাহলে কি কি সমস্যা দেখা দিবে তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন।
ভূমিকা
আমরা সকলেই জানি যে আমাদের শরীরের জন্য সঠিক হজম শক্তি থাকা ঠিক কতটা জরুরী। অর্থাৎ আপনার শরীরের হজম শক্তি কমে গেলে আপনার শরীরে দেখা দিবে বিভিন্ন ধরনের ভয়াবহ রোগ। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি মূলত সেই খাবারগুলো হজমের মাধ্যমে আমাদের শরীরে পুষ্টি উৎপাদন হয়। আর সে ক্ষেত্রে যদি আমাদের শরীরের হজম শক্তি ঠিক না থাকে তাহলে শরীরে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না
আমাদের মধ্যে অনেক মানুষই আছেন যারা এই লিভারের হজম শক্তিতে ভোগেন। কিন্তু আপনারা সঠিক তথ্য জানেন না লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে এবং কি কি সমস্যা দেখা দিবে। আর আপনাদের সঠিক তথ্য প্রদান করাই আমাদের উদ্দেশ্য। তাই এই সম্পূর্ণ পোস্টটিতে আমি লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব। চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে
আশা করি আমরা সবাই জানি যে, মানুষ যে খাবার গ্রহণ করে এই খাবারগুলো লিভারে হজম করার পর আমাদের পুরো শরীরে পুষ্টি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে যদি আমাদের শরীরের হজম শক্তি কমে যায় তাহলে আমাদের শরীরে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করা সম্ভব হয় না যার কারণে আমাদের শরীরে স্বাস্থ্যজনিত নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন,
- ডায়রিয়া
- পুষ্টিহীনতা
- ভিটামিনের ঘাটতি
- পেট ফোলাভাব
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- জন্ডিস
- ওজন বৃদ্ধি
- পিত্তপাথর
- লিভারের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়
- এবং গ্যাস সহ নানান ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি
আমরা অনেকেই জানিনা যে, এখন আমাদের শরীরের হজম ক্ষমতা কমে যায়। অর্থাৎ আমাদের শরীর সঠিক সঠিক মতো খাবার হজম করতে পারে না তখন আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি এবং চর্বি তৈরি হয়। আর এই ক্যালোরি এবং চর্বি বৃদ্ধির কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই বলা যায় হজম ক্ষমতা কমে গেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধির পেতে থাকে।
পুষ্টিহীনতা
দেখেন শুরুতেই যখন আমাদের শরীরে সঠিক খাদ্য হজম ক্ষমতা না থাকে তখন সাধারণত কম খাবার হজম হওয়ার কারণে আমাদের শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় খুবই কম পরিমাণে পুষ্টি তৈরি হয়। যার কারণে আমাদের শরীরে যতটুকু পুষ্টি দরকার ঠিক ততটুকু পুষ্টি সারবরাহ করতে পারে না। তাই লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে ভিটামিন, মিনারেল এবং পুষ্টিহীনতা দেখা দিতে পারে।
ডায়রিয়া
সাধারণত আমাদের খাবার সম্পূর্ণ হজম না হলে আমাদের শরীরের অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে যার কারণে আমাদের শরীরে ডায়রিয়া সহ অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক কথায় আমাদের শরীরের হজম শক্তি কমে গেলে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
আমাদের শরীরের হজম শক্তি কমে গেলে তা আমাদের শরীরের পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে শরীরের খাবার চলাচল কে ধীরগতি করে দিতে পারে।যার কারণে আমাদের শরীরে অস্বস্তি ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দেখা দিতে পারে।
জন্ডিস
আমরা সকলেই জানি যে জন্ডিস একটি ভয়াবহ রোগ। আবার যদি সেই রোগটি লিভার জন্ডিস আকারে ধরা পড়ে তাহলে এটি আমাদের জন্য আরো ভয়াবহ হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণত আমাদের লিভার ঠিকমতো কাজ না করলে আমাদের শরীরের রক্তে বিলি রুবিন তৈরি হতে পারে। আর এই বিলি রুবিন রক্তে বৃদ্ধি পেলে আমাদের শরীরের ত্বক ও আমাদের চোখ হলুদ হয়ে যেতে পারে। যাকে সাধারণ ভাষায় আমরা জন্ডিস বলে থাকি।
পেট ফোলাভাব
যখন আমাদের লিভারের হজম শক্তি কমতে শুরু করে তখন আমাদের খাদ্য সঠিকভাবে শোষণ ও হজম না হওয়ার কারণে পেট ফোলা ভাব অথবা পেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে। মূলত এর প্রধান কারণ সঠিকভাবে খাবার হজম না হওয়া।
পিত্ত পাথর
যখন আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে চাকরিতে পিত্ত উৎপাদন করতে সক্ষম না হয়। তখন এটি আমাদের শরীরে পিত্ত পাথর তৈরি করতে পারে। যার কারণে আমাদের শরীরের অন্যান্য হজমের সমস্যা এবং আমাদের শরীরে ব্যথা তৈরি করতে পারে।
লিভারের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়
যদি আমাদের শরীরের লিভার সঠিক মত কাজ না করে তাহলে লিভারে দুইটি রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন,
- লিভার ক্যান্সার
- শিরোসিস ইত্যাদি
হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ কি
সাধারণত আমাদের শরীরের হজম শক্তি কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যেমন,
- মানসিক চাপ
- দরিদ্র পুষ্টি
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা
- ওষুধ
- খারাপ খাদ্য
- রোগ
- ধূমপান
- বয়স
- স্ট্রেস
রোগ
কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের কিছু রোগ আমাদের শরীরের হজমকারী এনজাইম গুলির উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে যাতে করে আমাদের হজম শক্তি সাধারনের তুলনায় কমে যেতে পারে।
খারাপ খাদ্য
আমাদের শরীরের হজম শক্তি কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে খারাপ খাদ্য খাওয়া। অর্থাৎ যখন আপনি খুবই কম পুষ্টি জাতীয় এবং খুবই কম ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহণ করেন তখন আপনার শরীরের হজম শক্তি কম পুষ্টি এবং কম ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার জন্য কমে যেতে পারে। যার কারণে দেখা যায় আমাদের শরীরে হজমের সমস্যা।
অ্যালকা হল
আমরা অনেকেই মদ, বিয়ার এবং অন্যান্য অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ সেবন করে থাকি। আর এ অ্যালকোহল পান করার জন্য এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রের আস্তরণের খুব ভালো পরিমাণে ক্ষতি সাধন করে ফেলে যার কারণে আমাদের শরীরের হজম শক্তি স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়।
ঔষধ
আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সমস্যার কারণে বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ সেবন করি। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে, কোন কোন ওষুধ আমাদের শরীরের হজমকারি এনজাইমের উৎপাদন সাধারনের তুলনায় কমিয়ে দেয়। যার কারণে দেখা দেয় হজমের সমস্যা।
স্ট্রেস
কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন কাজের চাপে অনেক স্ট্রেস নিয়ে ফেলি। আর এই স্ট্রেস আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর কারণে আমাদের শরীরের হজমকারী এনজাইম গুলির উৎপাদন কমে যেতে পারে। আর এনজাইম উৎপাদন কমে গেলেই দেখা দেবে হজমের সমস্যা।
ধূমপান
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর আমরা সকলেই জানি। কিন্তু সবকিছু জানার পরেও আমরা প্রতিনিয়ত ধূমপান করতেই আছি। যার কারণে আমাদের শরীরে দেখা দিচ্ছে ভয়াবহ রোগ। সাধারণত ধূমপান করলে আমাদের শরীরের পরিপাকতন্ত্রের আস্তরণ অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন হয় ও ধূমপানের কারণে আমাদের শরীরের হজম শক্তি কমে যায়। যার কারণে দেখা দিতে পারে আমাদের শরীরে হজম জাতীয় বিভিন্ন সমস্যা।
বয়স
বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দেবে এটা স্বাভাবিক। তার কারণ মানুষের যত বয়স বৃদ্ধি পেতে থাকে তাদের শরীরে পাচক এনজাইম এর উৎপাদন ঠিক তত কমতে থাকে। যার কারণে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের হজম জাতীয় এবং বার্ধক্য জনিত সমস্যা।
সতর্কতা
যদি আমার ওপরে দেখানো লক্ষণ গুলির মধ্যে কোন লক্ষণ আপনার মধ্যে থাকে অথবা প্রকাশ পায় তাহলে আপনি অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং আপনার শরীরের পরীক্ষা করুন। তার কারণ যদি রোগ শুরুতে ধরা পড়ে তাহলে তার চিকিৎসা করা খুবই সহজ হয়।
কিন্তু আপনি যদি অবহেলা করে রোগ বাড়াতে থাকেন পরবর্তীতে ওই রোগের চিকিৎসা করা খুবই কষ্টের হয়ে যায় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগী মারা যেতে পারে। তাই অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং লক্ষণ গুলি প্রকাশ পেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
হজমের সমস্যা দূর করার উপায়
আমাদের শরীরের হজমের সমস্যা দূর করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। তার মধ্যে আমি নিচে বেশ কয়েকটি কার্যকর উপায় তুলে ধরব। যে উপায়গুলো আপনি ঘরে বসে অনায়াসে করতে পারবেন এবং আপনারা আজামের সমস্যা দূর করতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিছু কার্যকরী উপায়।
খাদ্য পরিবর্তন করা
আমাদের শরীরের হজমের সমস্যা দূর করতে সবার থেকে অন্যতম এবং কার্যকরী উপায় হচ্ছে আপনার খাদ্য অভ্যাস বদলানো। অর্থাৎ আপনাকে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে যে খাবারগুলো খুব সহজে আপনার লিভারে প্রবেশ করলে হজম হতে পারে না। আপনাকে সব সময় তেল, মশলা জাতীয় খাবার, ভাজা জাতীয় খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত করা খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। তার কারণ এই খাবারগুলো খুব সহজে হজম করা যায় না।
আর হজম না করতে পারলে আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে হজমের সমস্যা। তাই আপনি অবশ্যই বিভিন্ন শাক সবজি, বিভিন্ন গোটা শস্যজাতীয় খাবার, ফলমূল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার শরীরে হজম তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে এবং আপনার হজম শক্তির কোন সমস্যা দেখা দিবে না। তাই অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করে খাবার গ্রহণ করুন।
প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা
আমাদের শরীরসহ আমাদের পরিপাকতন্ত্র পর্যন্ত সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গ কে ঠিক রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা খুবই জরুরী। তবে তরল হিসাবে আপনি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে পারেন। এছাড়া আপনি পানি ছাড়া বিভিন্ন স্যুপ, বিভিন্ন ধরনের জুস এবং ভেষজ চাও খেতে পারেন। এতে করে আপনার পরিপাকতন্ত্র সঠিক ভাবে চলাচল করতে সক্ষম হবে। কিন্তু আপনি ভুলেও অ্যালকোহল এবং সিগারেট সেবন করবেন না। তার কারণ সিগারেট এবং অ্যালকোহল আপনাদের শরীরকে ডিহাইড্রেট করে তোলে যার কারণে আপনার শরীরে পানি শূন্যতা হয় এবং হজমের সমস্যা দেখা দেয়।
পাচক এনজাইম গ্রহণ
আপনারা অনেকেই জানেন না যে, আমাদের শরীরের হজম এনজাইম গুলি আমরা যেই খাদ্য গ্রহণ করি সেই খাদ্য ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে এই এনজাইমগুলো খাবারের সাথে অথবা খাবারের মধ্যে নিতে পারেন। এখন আপনাদের মাথায় একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে, এনজাইম গুলোর নাম কি। সাধারণত পাচক এনজাইম এর মধ্যে রয়েছে, ল্যাকটেজ, যা ল্যাকটোজ সাহায্য করে এবং অ্যামাইলেজ, যা স্টার্চ ভাঙতে সাহায্য করে।
স্ট্রেস পরিচালনা করুন
সাধারণত আমাদের শরীরে বিশেষ করে হজমের ওপর খুবই বেশি প্রভাব ফেলে স্ট্রেস অথবা মানসিক দুশ্চিন্তা। মূলত এটি আমাদের শরীরে হজমের সমস্যা তৈরি করে। এটি দূর করতে আপনি গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো শিথিল করন, যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করার চেষ্টা করুন। এতে করে কি হবে, এতে করে আপনার শরীরের স্ট্রেস কমে যাবে। আর স্ট্রেস কমে গেলে আপনার শরীরের হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। তাই অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা
ব্যায়াম আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী এটা কিন্তু আমরা সকলেই জানি। এ নিয়মিত ব্যায়াম যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ঠিক তেমনি নিয়মিত ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরের পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। যার কারণে আমাদের শরীরে হজমের সমস্যা থাকলেও ব্যায়াম করার মাধ্যমে সেটি ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায়। তাই যদি আপনার শরীরে প্রথম ক্ষমতা কম থাকে তাহলে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করুন। প্রথমে একটু কম সময় ধরে করুন এবং ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে গেলে করার সময় বৃদ্ধি করুন।
বিশেষ সর্তকতা
আমি উপরে আপনাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করার বিভিন্ন উপায় তুলে ধরেছি। যদি ওপরে দেখানো নিয়ম গুলি মেনে আপনার হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায় তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু ওপরে দেখানোর নিয়ম গুলো মেনে চলার পরেও যদি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি না পায় তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং তার দেখানো নিয়মগুলি মেনে চলুন। তার কারণ আপনার অবহেলায় পরবর্তীতে ভয়াবহ রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মানব দেহে হজম শক্তি কেন প্রয়োজন
আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে, আমরা যে খাবারগুলো গ্রহণ করি সেই খাবারগুলো সরাসরি আমাদের শরীরে পুষ্টিতে রূপান্তরিত হয় না। সেই খাবারগুলো লিভারে প্রবেশ করে এবং লিভার সেই খাবারগুলোকে হজম করে পুষ্টিতে রূপান্তরিত করে। আর এই পুষ্টিগুলো মানবদেহের সকল স্থানে পৌঁছিয়ে দেয়।কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন,চর্বি জাতীয় পুষ্টি উপাদান শরীরের বৃদ্ধি, শক্তি উৎপাদন এবং মেরামতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তার কারণ ওপরে উল্লেখ করা পুষ্টিগুলো ভেঙে ফেলা এবং শোষণ করার ক্ষমতা না থাকলে আমাদের মানবদেহে সেটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। সাধারণত আমাদের শরীরের হজম শক্তি আমাদের শরীরের খাদ্যগুলোকে অণুতে রূপান্তরিত করে এবং পরবর্তীতে আমাদের শরীর সেই অনুগুলো ব্যবহার করে। এছাড়াও পাকস্থলীর যে পাঁচক এনজাইম রয়েছে এবং যেই এসিড রয়েছে। সেগুলো আমাদের পাকস্থলীতে মজুদ থাকা খাবারগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভেঙ্গে দেয়।
যার কারণে এটি খুবই সহজে শোষিত হতে পারে আমাদের শরীরের অন্ত্রের প্রাচীরে। এর পরবর্তীতে সেটি থেকে রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে আমাদের পুরো শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে। তাই বলা যায় আমাদের শরীরের হজম প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখতে হজম শক্তির প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। আর এই হজম শক্তি না থাকলে আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যাবে না। আর আমাদের শরীর যদি সঠিক পরিমাণে পুষ্টি গ্রহণ না করতে পারে তাহলে আমাদের শরীরে দেখা দেবে বিভিন্ন রোগ।
এছাড়াও আপনাকে হজম শক্তি ঠিক রাখতে অবশ্যই সুষম খাবার, পুষ্টি জাতীয় খাবার, মানসিক চাপ কম রাখা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই জরুরী। এতে করে আপনার খাদ্য পরিপাকতন্ত্র ঠিক থাকবে। যার কারণে আপনার শরীরে পরিমাণ মত পোস্টটি পৌঁছে যাবে। তাই আপনি অবশ্যই সঠিক খাবার খান এবং বাজে খাবার থেকে দূরে থাকুন।
লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে তা নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসা ও প্রশ্ন উত্তর FAQ
প্রশ্নঃহজম শক্তি বৃদ্ধি করার ঔষধ কি?
উত্তরঃDiozyme Tablet.
প্রশ্নঃলিভার সিরোসিস রোগীদের মধ্যে জিআই লক্ষণ?
উত্তরঃ লিভার সিরোসিস রোগীদের মধ্যে জি আই লক্ষণগুলো হচ্ছে,,পেটে ব্যথা পেট ফুলে যাওয়া ডায়রিয়া কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি
প্রশ্নঃলিভারের ক্ষতি হজমশক্তির কারণ?
উত্তরঃযকৃত থেকে ছোট অন্ত্রে পিত্তের প্রবাহ।
প্রশ্নঃলিভারের ক্ষতি হজমশক্তির কারণ?
উত্তরঃ সাধারণত লিভারের প্রধান দুটি দায়িত্বে থাকে। যেমন,পিত্ত তৈরি করা ও নিঃসরণ করাছোট অন্ত্র থেকে আসা নতুন শোষিত পুষ্টি ধারণকারী রক্তকে প্রক্রিয়া করা ও বিশুদ্ধ করা।
প্রশ্নঃবদহজম কতদিন থাকে?
উত্তরঃ কয়েক মিনিট থেকে শুরু করে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে।
প্রশ্নঃখাওয়ার কতদিন পর ঔষধ খাওয়ার জন্য পেট খালি থাকে?
উত্তরঃ খাবার শেষ করার দুই ঘন্টা পর।
প্রশ্নঃঅ্যাসাইটিস লিভার রোগের কোন পর্যায়?
উত্তরঃ পচনশীল পর্যায়।
প্রশ্নঃযকৃতের রোগের কোন পর্যায়?
উত্তরঃ প্রথম পর্যায়।
প্রশ্নঃলিভার কিভাবে কাজ করে?
উত্তরঃলিভার রক্তকে প্রক্রিয়াজাত করে ও রক্ত ভাঙতে সাহায্য করে, ভারসাম্য তৈরি করে এবং বিভিন্ন পুষ্টি তৈরি করে এবং ওষুধগুলিকে এমন আকারে বিপাক করে যেগুলি শরীরের বাকি অংশের জন্য ব্যবহার করা সহজ হয়ে যায়।
প্রশ্নঃলিভার রোগের প্রাথমিক লক্ষণ কি?
উত্তরঃ লিভার রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হল,চোখ সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ হলুদ হয়ে যাওয়াপেট ব্যথা এবং পেট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি
প্রশ্নঃলিভার কত বড়?
উত্তরঃ একটি ফুটবলের আকার যত বড় ঠিক লিভারের আকার ও তত বড়।
প্রশ্নঃখাওয়ার পর পেট ফুলে যাওয়ার কারণ?
উত্তরঃঅতিরিক্ত অন্ত্রের গ্যাস।
প্রশ্নঃঔষধ পেটে কতক্ষণ থাকে?
উত্তরঃ এক ঘন্টা থেকে শুরু করে ছয় ঘন্টা পর্যন্ত।
প্রশ্নঃলিভার ফেইলিউর এর ধাপ কয়টি?
উত্তরঃ চারটি পর্যায়।
শেষ কথা
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আর সর্বশেষ সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url